স্থূলতার কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। স্থূলতা বলতে শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা চর্বিকে বোঝানো হয়। এটি স্বাস্থ্যর পক্ষে ক্ষতিকারক। নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ওজনের কারণে প্রাথমিক ভাবে প্রজনন হরমোনের অসামঞ্জস্য সৃষ্টির মাধ্যমে প্রজনন ক্ষমতা বিঘ্নিত হয়। স্থূলতার কারণে মহিলাদের শরীরে উদরস্থিত ফ্যাটের অসামঞ্জ্যস্যতা, এনড্রজেনের উচ্চমাত্রা এবং প্রবলভাবে ইনসুলিন প্রতিরোধের প্রবণতা তৈরি হয়। শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে গর্ভধারণের সম্ভবনা হ্রাস পায়, আইভিএফ করাবার দরকার পড়তে পারে। গর্ভপাতের সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তবে স্থূলকায় মহিলারা মা হতে পারে না এই চিন্তাটা সম্পূর্ণ ভুল। এখন আপনি ওজনও অনেক কমিয়ে ফেলেছেন তাহলে সমস্যা হওয়ার কোনও কারণ নেই। সবার আগে আপনি কোনও ভালো গাইনিকোলজিস্টকে দেখিয়ে জানার চেষ্টা করুন আপনার গর্ভধারণ করতে না পারার প্রধান সমস্যাটা কী।
যে মহিলাদের স্থূলতার সমস্যা আছে তাদের শরীরে অত্যধিক চর্বির কারণে লেপটিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোন শরীরের চর্বিকোশ দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং এটি মহিলাদের উর্বরতা নষ্ট করে। মনে রাখবেন, বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য IVF একমাত্র সমাধান নয়। এই সমস্যার নানা কারণ হতে পারে। আপনার প্রবলেমের ঠিকমতো ডায়গনোসিস এবং চিকিৎসা হলে স্বাভাবিক ভাবেই গর্ভধারণ করতে পারবেন। ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টে ওষুধ, হরমোন থেরাপি, আইইউআই খুবই কার্যকরী। কখনও কখনও জীবনশৈলীতে পরিবর্তন আনলেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর হতে পারে। এই সমস্ত উপায় ট্রাই করার পরেও যদি সন্তান সুখ লাভ করতে না পারেন তাহলে আইভিএফ টেকনিকের সাহায্য নিতেই পারেন।