বিয়ের পর ইদানীং কালে যে কোনও নব দম্পতিদের জন্যই হনিমুনে যাওয়ার গন্তব্য ঠিক করার কাজটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকেই খুব খুঁতখুঁতে হয় ডেস্টিনেশন বাছাইয়ের বিষয়ে৷ কোথায় যাবেন, কোথায় যাবেন না, কোন ঋতুতে যাবেন বা কোথাও বেড়াতে গেলে কেমন আবহাওয়া পাবেন এই সমস্ত বিষয় খেয়াল রাখা তাই খুবই জরুরি।আরও জরুরি হল হনিমুনের জায়গাটি যেন নিরিবিলি হয়৷ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড অফবিট হনিমুন স্পটের সন্ধান জেনে নিন৷

হাফলং

পরস্পরকে জানার, ভালোবাসার, অন্তরঙ্গ হওয়ার জন্য চাই কিছু অবসর, কিছুটা নিরালাযাপন। হনিমুনের সবটুকু রূপরস যদি উপভোগ করতে হয়— টুরিস্ট স্পটের অহেতুক ভিড় এড়িয়ে চলে যান অচেনা কোনও ডেস্টিনেশনে। হাফলং তেমনই একটি দুর্লভ জায়গা। অসমের একমাত্র হিলস্টেশন, যা কিনা ‘স্কটল্যান্ড অফ অসম’ বলে পরিচিত। বিউটিফুল ল্যান্ডস্কেপ, পাহাড় আর উপত্যকার সবুজ, অচিরেই দু’জনের মন কেড়ে নেবে। হাতে হাত রেখে কেটে যাবে প্রহর।

থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু আরামদায়ক রিসর্ট। হনিমুন কাপল হলে বাড়তি যত্নআত্তি পাওয়া যাবে। সঙ্গে রয়েছে বেড়িয়ে নেওয়ার বেশ কিছু জায়গা। অর্কিড গার্ডেন, বোরালি রেঞ্জ, মাইবং ও জাটিঙ্গা এগুলির অন্যতম। আর সবচেয়ে রোমান্টিক সময় কাটানোর জায়গা হল হাফলং লেক, যেখানে নৌকাবিহার করতে করতে দু’জনে দু’জনকে শুধোন সেই অমোঘ প্রশ্ন— ‘কে প্রথম কাছে এসেছি / কে প্রথম ভালোবেসেছি…’।

কলকাতা ফেরার পথে গুয়াহাটি ঘুরে নিন। একটি বাহারি অসমিয়া টোকা আর মেখলা কিনতে ভুলবেন না।

কসৌলি

Travel Kasauli

আপনার প্রেমের পীঠস্থান হোক পাহাড়ের কোলে ছোট হিমাচলি হিলস্টেশন কসৌলি। সিমলা থেকে ৭৭ কিমি দূরে এই নির্জন নিরিবিলি রোমান্টিক জায়গাটি রয়েছে আপনারই অপেক্ষায়। ব্রিটিশ রাজত্বকালে বানানো এই ছোট্ট জনপদের নিজস্ব চার্ম আছে। পাইন ছাওয়া পথ আর শ্বেতশুভ্র পাহাড়ের অনির্বচনীয় সৌন্দর্য নিয়ে পসরা সাজিয়েছে কসৌলি, নবদম্পতির প্রেমের সাক্ষী হবার জন্যই।

কসৌলি-তে থাকার জন্য কয়েকটি লাক্সারি হোটেল ছাড়াও বাজেট হোটেলও আছে। রেলপথে কালকা হয়ে এবং বিমানে চণ্ডীগড় থেকে পৌঁছোনো যায় এই শৈলশহরে।অবসরযাপনের ফাঁকে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে মাঙ্গি পয়েন্ট। পাহাড়ি পথ বেয়ে হাঁটার নির্মল আনন্দ নিয়ে পৌঁছে যান শীর্ষে। পাখির চোখে দেখে নিন গোটা উপত্যকা। সূর্যোদয়ের নরম আলো মাখুন গায়ে। রয়েছে একটি হনুমান মন্দির।

কাছাকাছির মধ্যে ঘুরে দেখতে পারেন ক্রাইস্ট চার্চ বা সড়কপথে মাত্র ১৫ কিমি দূরের ধরমপুর। এছাড়া ১৯ কিমি দূরত্বেই রয়েছে ব্রিটিশ ক্যান্টনমেন্ট দাগশাই।

চাইলে একটি বেলা ঘুরে আসতে পারেন বিলাসপুর। কিছু দূর্গ, মন্দির এবং একটি ড্যাম এখানকার দ্রষ্টব্য। কালকা-সিমলা হাইওয়েতে অবস্থিত বারোগও অভূতপূর্ব একটি স্পট। এখান থেকে পাহাড়ের ভিউ সত্যিই অসামান্য। বিপাশা নদীর ধারে মন্দির-শহর মান্ডি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। এবং অবশ্যই মিস করবেন না রোমান্টিক স্পর্ট কুফরি। ঘোড়ার পিঠে কুফরি ঘুরে দেখার মজাই আলাদা। কলকাতা ফেরার পথে শপিং সারুন সিমলায়। সোয়েটার-এর সঙ্গে কিনতে ভুলবেন না হিমাচলি আপেল ও কুলুর টুপি আর শাল।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...