বেতলা (ঝাড়খণ্ড)

বেতলা ন্যাশনাল পার্ক বিহারের ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলায় ছোটনাগপুর মাল্ভূমিতে অবস্থিত। প্রথম ১,০২৬ কিলোমিটারের পালামউ ব্যাঘ্র প্রকল্প এই পার্কের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১৯৮৯তে আরও ২২৬ কিলোমিটার জায়গা এই প্রকল্পে সংযোজন করা হয়। এছাড়াও ৬৩ কিলোমিটার ধরে ব্যাপ্ত মহুয়াডার নেকড়ে প্রকল্পও এই পার্কের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। কোয়েল নদী তার শাখা-প্রশাখা নিয়ে, পার্কের উত্তর দিকে প্রবাহিত। বাঙালি অনেক লেখকের সাহিত্যেই কোয়েল নদীর সৌন্দর্যের বর্ণনা পাওয়া যায়।

এখানে চিরসবুজ জঙ্গলের দেখা পাওয়া যায় সারা বছর ধরে। শাল, বাঁশ, বহু ধরনের অন্যান্য গাছগাছড়া যা থেকে ঔষধ প্রস্তুত হয় সবকিছুই এই জঙ্গলে পাওয়া যায়।

এপ্রিল, মে থেকে জুন মাস অবধি প্রচুর বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। সারা বছরই হাতির দলের দেখা মেলে। এছাড়াও শ্লথ বেয়ার, প্যানথার, ভাল্লুক, নেকড়ে, শিয়াল, হায়েনা, লঙ্গুর এই জঙ্গলে প্রচুর রয়েছে। চার শিং-যুক্ত অ্যানটিলোপ, নীলগাই, সজারু, প্যাঙ্গোলিনেরও দেখা পাওয়া যায়। বহুখ্যাত ‘কমলদহ’ হ্রদে বহু পাখির আনাগোনা সারা বছরই লেগে থাকে।

এখানকার অন্যান্য আকর্ষণীয় Tourist Destination হল ঝরনা এবং হট স্প্রিং। বেতলায় দু’টি ঐতিহাসিক কেল্লা রয়েছে। ষোড়শ শতাব্দীর মেদিনী রায় কেল্লাটির ভগ্নাংশ এখন প্রায় গভীর জঙ্গলের দখলে চলে গেছে। পার্কের ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে মহুয়াডারে ৪৬৮ ফিট্‌ উচ্চতার লোধ ফলস্-টি টুরিস্ট আকর্ষণের একটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বলা যেতে পারে।

কীভাবে যাবেন : বেতলায় পৌঁছোতে সবথেকে কাছের রেলস্টেশন হচ্ছে বরওয়াড়ি জংশন। এখান থেকে ১৫ কিলোমিটার ট্যাক্সি বা বাসে বেতলায় পৌঁছোতে হয়। ডালটনগঞ্জ, লাতেহার, রাঁচি, গয়া, পাটনা, কলকাতা থেকে ট্রেনে খুব সহজে এখানে পৌঁছোনো যায়।

কোথায় থাকবেন : থাকার জন্য ঝাড়খণ্ড ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পারেশনের ‘বন বিহার’ রয়েছে। যোগাযোগের জন্যে ডিরেক্টর, প্রোজেক্ট টাইগার (জেল কমপাউন্ড), বেতলা, পোস্ট- ডালটনগঞ্জ পালামউ, ফোন-০৬৫৬-২৮৬-৩৫০। কলকাতা অফিস – ঝাড়খন্ড টুরিজম অফিস, ১২. এ, ঊষাকিরণ বিল্ডিং, ফ্ল্যাট-৮ডি, ক্যামাক স্ট্রিট, কলকাতা-১৭, ফোন- ২২৮২-০৬০১ অথবা কলকাতার অথরাইজড্ এজেন্ট ‘ওয়েফেরার্স’, ২৪২৪-০৬৮২/৬৫৬২।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...