ফ্যাশনেবল হতে গেলে যে ভীষণ দামি জামাকাপড় কিনতে হবে তা মোটেই নয়৷ আপনার ড্রেসিং সেন্স যদি ভালো হয়. সাধারণ সাজেও আপনি হয়ে উঠতে পারেন অসাধারণ৷আজকাল ফ্যাশন সচেতন নন, এমন মানুষ পাওয়া বেশ মুশকিল।ঘরে-বাইরে, ঋতুভেদে, ফ্যাশনপ্রেমী মানুষ সবসময় চায় পোশাকে নতুনত্ব।
এ সময়কার মেয়েদের পোশাকের তালিকায় বড়ো জায়গা জুড়ে আছে কুর্তি এবং কামিজ। আজকাল যেহেতু ফ্যাশন জগতে বিশ্বায়নের প্রভাব ব্যাপক, তাই এতে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন ধরনের কুর্তি বা টপসের ব্যবহার।বিশেষ করে কিশোরী থেকে তরুণীরা বেসিক প্যাটার্ন ও টপস-কুর্তি কাটের মধ্যেও খুঁজে বেড়ান বৈচিত্র্য। কিন্তু সনাতনী ভারতীয় সাজে সালোয়ার -স্যুটের চাহিদা আজও অক্ষুন্ন৷ভালো সালোয়ার স্যুট পরে বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আজও ভারতীয় সংষ্কৃতিরই অঙ্গ৷ কুর্তি এবং টপস ছাড়াও তাই সুন্দর নকশা বা এমব্রয়ডারি করা কামিজ, ফ্যাশনে চিরকালীন ক্রেজ৷
ফরমাল পরিবেশে সালোওয়ার কামিজ আভিজাত্য নিয়ে আসে। রাতে ও দিনের সব আয়োজনেই, যার ব্যবহার আপনাকে করে তুলবে আরও ফ্যাশনেবল।আবার ক্যাজুয়াল সাজের জন্য সব ধরনের কুর্তি মানিয়ে যায়৷ কুর্তি এবং টপস আজকাল মেয়েদের বিশেষ পছন্দের পোশাক। কারণ কুর্তি, টপসের কাটিংয়ে রয়েছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। পোশাকটা ঢিলা হওয়ায় এর সঙ্গে একটু চাপা টাইপের জিন্স বা Ankle length প্যান্টের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায় এবং লেগিংসের সঙ্গেও দেখতে ভালো লাগে।
একরঙা ও প্রিন্ট দু-ধরনের লেগিংসের সঙ্গে একটা সলিড কালার কুর্তি পরে ফেলা যায় নির্দ্বিধায়। টপসের চেয়ে কুর্তিতে লেন্থটা বেশি থাকে। তাই স্ট্রেট প্যান্টস-এর সঙ্গে মানায় ভালো৷কিছু কুর্তিতে নানা ডিজাইনের কলার ব্যবহারে নতুনত্ব আনা হচ্ছে আজকাল। কুর্তির নীচের অংশের কাটে নতুনত্বের প্রয়াস চোখে পড়ার মতো। গোলাকার, অ্যাসিমেট্রিকাল কাটের বৈচিত্র্য নিয়ে আসা হয়েছে সেখানে।
এদিকে কামিজের নীচের অংশে মানে বটম লাইনে লেয়ারিং নকশা দেখা যাচ্ছে আজকাল। সামনের অংশের চেয়ে পেছনের বেশ খানিকটা ঝুল নামানো কাটিংও আছে। বিভিন্ন কাটিং ও প্যাটার্নে তৈরি হচ্ছে কামিজগুলি৷ কখনও গলায়, কখনও হাতা অথবা বটম লাইনে আসছে বৈচিত্র্য।
সিল্ক, খাদি সিল্ক, মটকা, জর্জেট, সুতি কাপড়ের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। টপস এবং কুর্তির কাটের মধ্যেও বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে। ইয়োকে থাকছে পুঁতি-চুমকি, প্যাচওয়ার্ক-সহ বিভিন্ন কাজ৷ কখনও কলমকারি বা আজরখের ব্যবহারে ইয়োকে যোগ করা হচ্ছে নতুনত্ব।
কুর্তি বা কামিজ শুধু আড্ডা বা ঘোরাঘুরিতেই নয়, অফিস অথবা কলেজেও দারুণ মানানসই। আজকাল সালোয়ার-কামিজে অনেক টিনই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। আবার ফ্রকও এ সময় ঠিক তাদের মানায় না। তাই বিকল্প হিসেবে কামিজ বা কুর্তি পরছেন জিন্স-এর সঙ্গে৷ ইউনিভার্সিটি, বার্থডে পার্টি, হ্যাংআউট, কেনাকাটা– এমনকী কর্পোরেট কালচারেও পোশাকটি নিজের জায়গা করে নিয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে।