বর্তমানে পোশাকের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্সেসরি হল লটকন। ইদানীং যা ভীষণভাবে ইন। মহিলাদের মনের খুব কাছাকাছিও বলা যেতে পারে। আজকাল লটকন ছাড়া ফ্যাশন— ভাবাই যায় না। গুজরাতে চনিয়া চোলি, রাজস্থান আর হরিয়ানার ঘাগরা চোলি, পঞ্জাবে পরান্দা এবং চূড়ার সাথে লটকন বংশপরম্পরায় চলে আসছে। বিহারেও চমকদার লটকনের বেশ জনপ্রিয়তা দেখা যায়। পোশাকে বৈচিত্র্য আনার কারণে যা ধীরে-ধীরে বাংলার মহিলাদের ব্লাউজ বা কামিজের অ্যাক্সেসরিজ হিসাবে শোভা বাড়াচ্ছে।
এখন ঙীষণ ইন কাপড়ের পানের খিলির মতো লটকন৷ একসঙ্গে একাধিক এমন লটকন সেলাই হচ্ছে ব্লাউজের পিঠে৷এছাড়া চিরাচরিত লো-কাট চোলিতে ঘুংরু সমেত মেটালের নানান রঙের লটকন, নয়তো রংবেরঙের বিস দেওয়া লটকন তো আছেই৷ এই সব লটকন, উন্মুক্ত পিঠকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ব্লাউজের হাতের কানায় ঝুমকো লাগানো লটকন, ঘাগরার ঠিক কোমরের নীচে ভেলভেটের সঙ্গে পুঁথি দিয়ে তৈরি লটকন, চুড়ির লটকন, গয়নাতে বিভিন্ন ডিজাইনের কান থেকে ঘাড় পর্যন্ত ঝোলা লটকন, সবই এখন ইন।
জুয়েলারি থেকে পোশাক-আশাক, সাজগোজের নানা পোশাকি-অ্যাক্সেসরিজ-এ তা ফিরে আসছে নবরূপে। ষাট থেকে সত্তর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালা সিন্হা, আশা পারেখ, মুমতাজ, শর্মিলা ঠাকুর-দেরও পোশাকে লটকন ব্যবহার করতে দেখা গেছে। চোলির পিছন দিক ক্রিসক্রস করা ডিজাইন আর তার মাঝে ঝুলন্ত ভেলভেটের লটকন, তাঁদের আরও আবেদনময়ী করে তুলত। যুগ যুগ ধরে পোশাকের এই অলংকরণ জয় করেছে দর্শকদের মন।
আর আজ খ্যাতির শীর্ষে থাকা বিদ্যা বালন, প্রিয়ংকা চোপড়া, দীপিকা পাড়ুকোনের মতো নামিদামি অভিনেত্রীরাও, অচিরেই লটকনের ফ্যাশনে গা-ভাসিয়ে দিয়েছেন। বিয়েবাড়ির সাজ ঙোক বা সান্ধ্য পার্টিতে, ভারতীয় ট্র্যাডিশনাল পোশাকই অনেকে পরতে পছন্দ করেন৷ শাড়ি বা লেহঙ্গা চোলিই সেখানে নজরকাড়া চয়েস৷সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলাচ্ছে ব্লাউজ বা চোলির কাট৷কখনও রাফেলড স্লিভস, কখনও গ্লাস হাতা কিংবা বেল স্লিভস, কাট যা-ই হোক না কেন, ব্লাউজের ব্যাক কিন্তু আকর্ষণীয় করতে এখনও মেয়েদের লটকনই পছন্দ৷