মাসে মাসে যতটা সম্ভব টাকা জমানোর অভ্যাস তৈরি করা, যাতে আর্থিক ভাবে চাপমুক্ত থাকা যায় এবং খোঁজখবর নিয়ে ন্যায্যমূল্যে ভালোমানের জিনিস কেনা যায়। এছাড়া, বাজেট শপিং-এর বিষয়টি হল, পকেটের ওজন বুঝে, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে প্রয়োজনের জিনিস কেনা সম্পূর্ণ করা। কিন্তু কোথায় কিনবেন, কী কিনবেন, কত দামের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
পোশাক কেনার ব্যাপারে বছরের শুরুতে একটা বাজেট করে নেওয়াই ভালো। এই বাজেটকে আবার চার ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। বাজেটের একটা অংশ যাবে দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য পোশাকের জন্য, একটা অংশ কর্মক্ষেত্রের পোশাকের জন্য, তৃতীয় অংশ থাকবে উৎসব অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য এবং চতুর্থ অংশ বরাদ্দ থাকবে বেড়াতে যাওয়ার পোশাকের জন্য।
এরই পাশাপাশি, কিছু টাকা রাখতে হবে শীতের পোশাক কেনার জন্য। আর বাজেট করার সময় একটু ভেবেচিন্তে বাজেট করা উচিত। উপলক্ষ্য যদি হয় উৎসব-অনুষ্ঠান এবং বেড়ানো, তাহলে ভালো গুণমানের পোশাক কিনতে হবে এবং এর জন্য বেশি পরিমাণ টাকা মজুত রাখতে হবে। তবে প্রসঙ্গত মনে রাখতে হবে, পোশাক-আশাক কেনার জন্য এক বছর আগে থেকে টাকা জমানো ভালো। এর ফলে কেনাকাটার ক্ষেত্রে একসঙ্গে চাপ পড়বে না এবং একটু বেশি দাম দিয়ে ভালোমানের পোশাক-আশাক কেনার সুযোগ পাওয়া যাবে।
যাইহোক, বাজেট-এর পরে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তা হল শপিং। শপিং-এর ক্ষেত্রে একা না গিয়ে, নিয়মিত শপিং করেন এমন কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়াই ভালো। এতে যেমন ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, তেমনই কেনাকাটার ক্ষেত্রে দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধে হয়।
এই বিষয়ে উল্লেখ্য, অনলাইন কেনাকাটার সূত্রপাত হওয়ার ফলে, কিছুটা হলেও ভিড় কমেছে দোকানে। এখন আর শুধু উৎসবের আগে কেনাকাটার হিড়িক পড়ে না, অনলাইন-এ প্রায় সারা বছর ধরেই চলতে থাকে কেনাকাটা। বাজারের থেকে কিছুটা হলেও কম দামে কেনাকাটার সুযোগ পাওয়া যায় অনলাইন-এর ই-কমার্স সাইটে। কেনাকাটার জন্য প্রয়োজন প্লাস্টিক মানি। মানে ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড। অনেক সময় ক্রেডিট কার্ড- এর পয়েন্টস বা কেনাকাটার বিশেষ অফার পেয়ে লাভবান হতে পারেন।
উৎসবে যেহেতু সবরকম খরচা অনেকটাই বেড়ে যায়, তাই খানিকটা সাশ্রয় করতে অনলাইন কেনাকাটার সুযোগ নেন অনেকেই। মোবাইলের ইন্টারনেট অন করে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড-এর জিনিসপত্রের ছবি এবং বিবরণ দেখে নিয়ে কেনাকাটা করা যায় এই মাধ্যমে। অনলাইন কেনাকাটায় দাম অনেকটা কম পড়ে কারণ, এক্ষেত্রে দোকান চালানোর খরচ নেই, শুধু ক্যুরিয়ারে জিনিসটি ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছে দিতে পারলেই কাজ শেষ। এক্ষেত্রে আগাম পেমেন্টও করা যায়। জামাকাপড়, জুতো, গয়না, প্রসাধন সামগ্রী, ব্যাগ, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ প্রভৃতি প্রায় সবকিছুই অনলাইন-এ বিক্রি করছে বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও, অনলাইন কেনাকাটার সুবিধে-অসুবিধে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক সময় কেউ-কেউ নানা সমস্যায়ও পড়ছেন। প্রতারণারও শিকার হয়েছেন অনেকে।
( ক্রমশঃ… )