২৯ বছর বয়স আমার, বিবাহিতা। যৌথ পরিবারে বিয়ে হয়েছে। এখানে আমার কোনও অসুবিধে নেই কিন্তু একটা জিনিস আমাকে খুব কষ্ট দেয়। শ্বশুরবাড়িতে বেশিরভাগ সদস্যই আধুনিক মনের নন। তাঁরা খুবই প্রাচীনপন্থী। অথচ আমার সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে প্রায় ৬ মাস আমার শ্বশুরবাড়ির সবাই আমার বাপের বাড়িতে যাতায়াত করেছেন এবং একাধিকবার আমিও ওনাদের সঙ্গে বহু জায়গায় ঘুরেছি। আমি নিজে খুবই আধুনিক চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। বাড়িতে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে আমার মা-বাবা আমাকে মানুষ করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতার অপব্যবহার যাতে না করি সেই শিক্ষাও দিয়েছেন। আমার চালচলন এবং মানসিকতা শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক, ফলত অনেক সময়েই তাঁরা আমার সবকিছু ভালো চোখে দেখেন না এবং তার জন্য আমাকে তাঁদের ক্রোধের শিকারও হতে হয়। অন্য জায়েরা আমাকে অবাক দৃষ্টিতে সবসময় পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। আমার স্বামী এটাকে কোনও সমস্যা বলেই মনে করেন না। এত বড়ো বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও উঠে যাওয়াটাও সমীচীন নয় আর তাতে হয়তো পরিবারের সকলে দুঃখও পাবেন। আমার কী করা উচিত ?

পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ-কলহ খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিবার তো আর ফেসবুক বা হোয়াট্স অ্যাপ নয় যে, বহু মানুষকে একটা সুতোয় গেঁথে রেখেছেন ঠিকই কিন্তু কারও কিছু পছন্দ না হলে এক ঝটকায় তাকে সরিয়ে দিতে পারবেন। পরিবারে থাকতে হলে কিছু জিনিস আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন কে আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করল বা কে আপনাকে পছন্দ করে না, এমনই ছোটো ছোটো জিনিস। এমন ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করুন, যাতে সকলেই আপনাকে ভালো মানুষ হিসেবে বুঝতে পারে। কে কী ভাবল আপনার সম্পর্কে সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। এখন সবাই একা একা থাকতে চায় কিন্তু যৌথ পরিবারে থাকার সৌভাগ্য সকলের হয় না। একটু বুঝেশুনে চললে যৌথ পরিবারে থাকা কিন্তু অনেক বেশি সুবিধা। সুতরাং ছোটো ছোটো ঘটনাগুলো এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করুন এবং সকলের সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে বাড়ির সদস্যরা আপনার মতন করেই আপনাকে স্বীকার করে নেবে। আপনার স্বামীকে বলুন আপনাকে কিছুটা সহযোগিতা করতে, দেখবেন আপনিই হয়তো একদিন বাড়ির সদস্যদের প্রিয় হয়ে উঠবেন।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...