আমি ২৩ বছর বয়সি চাকুরিরতা। ১ মাস পরে আমার বিয়ে। বাপের বাড়িতে আমাকে একেবারেই রান্না করতে হয় না ফলে রান্নার আমি কিছুই জানি না। আমার মা-বাবাও মেয়েকে বিয়ের আগে রান্নাঘরে পাঠানোর একেবারে বিরোধী। তাঁদের মত হল মেয়েদের কাছে Cooking ব্যাপার টা খুব স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে, এর জন্য আগে থেকে কোনও প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাঁরা বারবারই আমাকে বলছেন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আমি নিজেই সব শিখে যাব। কিন্তু আমার পরিচিত অনেকেই আমাকে বলছেন এবং টিভির ধারাবাহিকগুলোতেও দেখি, শ্বশুরবাড়িতে রান্না করতে না পারলে সকলের ঠাট্টার খোরাক হতে হয়। এটা কতটা সত্যি? এখন আমার কী করা উচিত?

বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মেয়েরা এমনিতেই Cooking শিখে যায়। আপনি ছোটো পর্দার ধারাবাহিকগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন অথচ ওই ঘটনাগুলোর সঙ্গে বাস্তবতার কোনও যোগাযোগ নেই। ওগুলিকে উদাহরণ হিসেবে একেবারেই গণ্য করবেন না। এই ধারবাহিকগুলি সমাজে সচেতনতার উদ্রেক না করে বরং কিছু মিথ্যা পরিবেশন করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো অন্ধবিশ্বাসও ছড়ায়। শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক ভালো হতেই পারে না, এমনই আভাস দেয় এই ধারাবাহিকগুলি। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সব মেয়েরাই খারাপ থাকে এই ধারণা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে অল্পবিস্তর Cooking জানা থাকলে অনেকটাই সুবিধা হয় কিন্তু এটাও তেমনি ঠিক যে প্রতিটা বাড়ির রান্নার পদ্ধতি, রান্নার স্বাদ আলাদা আলাদা। কেউ রান্নায় ঝাল পছন্দ করেন আবার কেউ বা মিষ্টি। মাছেরও প্রকার ভেদ আছে, একেকটা পরিবারে একেকরকম। কেউ সামনের পাতে তেতো খেতে পছন্দ করেন কারও বাড়িতে ডাল, দুই-তিন রকম ভাজা দিয়ে খাওয়া শুরু হয়। শেষ পাতে কেউ দই খান কোনও বাড়িতে আবার মিষ্টি খাওয়ার চল। সুতরাং বাপের বাড়িতে রান্না শিখে গেলেও বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে নতুন করে রান্না শিখতে হতোই। এছাড়াও এখনকার শাশুড়িরা অনেক বেশি সচেতন, সবকিছু বুঝেশুনে চলেন এবং আধুনিক মনস্কা। তাঁরা খুব ভালো করেই জানেন, চাকুরিরতা বউমার কাছে কতটা গৃহস্থী সামলানোর আশা করা যায়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...