আমি বিবাহিত যুবক এবং এক সন্তানের পিতা। নিজের স্ত্রী-কে নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। আমার স্ত্রী তার এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে এতটাই ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ফেলেছিল যে, অবৈধ শারীরিক সম্পর্কেও তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই সত্যটা জানার পর প্রথম প্রথম আমাদের মধ্যে খুব ঝগড়া হতো এবং তারপর আমাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। হঠাৎ-ই একদিন ছেলেকে আমার কাছে রেখে ও বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এখন ৩ বছর পর ও আবার আমার কাছে ফিরে এসেছে। মনে হয় ওর পুরুষ বন্ধুটি ওকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাই ও আবার আমার কাছে ফিরে এসেছে।

প্রথমে ওকে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলাম কিন্তু ও প্রায় জোর করেই থেকে গেছে। এখন স্ত্রী-র সঙ্গে যতই স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করি না কেন, আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। শারীরিক সম্পর্ক তো দূরের কথা, ভালো ভাবে একটা কথাও হয় না। আমাদের দেখে মনে হয় অচেনা দুটো মানুষকে জোর করে একই ছাদের নীচে রেখে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি কী করব ?

এমন হতে পারে যে আপনার স্ত্রী তার Boy Friend-এর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্য লজ্জিত এবং সেইজন্য তিনি আপনার সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করতে পারছেন না। আশা রাখুন হয়তো আরও কিছুদিন বাদে উনি স্বাভাবিক হতে পারবেন। এর পরেও যদি আপনার স্ত্রী, স্বাভাবিক হতে না পারেন তাহলে সাইকোলজিস্টের সাহায্য নিন। কাউন্সেলিং করার পরই বোঝা যাবে ওনার মনের মধ্যে কী হচ্ছে। আইনের দ্বারস্থ হলেও খুব বেশি লাভ হবে না! কারণ এই ধরনের কেসে আদালতের রায় মহিলাদের পক্ষেই সাধারণত হয়ে থাকে।

আমার বয়স ১৮ বছর, ক্লাস টুয়েলভ-এ পড়ি। একটি ছেলে আমাকে খুব ভালোবাসে এবং বিয়ে করতে চায়। ভালোবাসাটা শুধুমাত্র ওর দিক থেকেই। আমি ওকে কিছুতেই মুখের উপর না বলতে পারছি না। এই অবস্থায় কী করা উচিত?

আপনার বয়স এখন খুবই কম। এখন পড়াশোনা এবং কেরিয়ার গঠনে মন দিন। যে ছেলেটির কথা জানিয়েছেন, তাকে ভদ্র এবং স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিন যে, ওকে আপনি ভালোবাসেন না। সে খালি আপনার বন্ধু। প্রেম অথবা বিয়ের বয়স আপনার নয়, এমনকী উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াবারও কোনও যুক্তি নেই। সুতরাং আপনার উপর কোনওরকম আশা রাখতে ছেলেটিকে বারণ করুন।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...