মেট্রিমোনিয়াল সাইটস জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রমশ। কিন্তু এই সাইটগুলোর মাধ্যমে বন্ধুত্ব কিংবা বিয়ে করলে সতর্ক থাকা উচিত। সম্প্রতি এক মামলায় সামনে এসেছে— এক বিবাহিত ব্যক্তি নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে এক তরুণীকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের পর ওই তরুণী জানতে পারেন যে, লোকটি তাকে ঠকিয়েছে। পরে ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল— ওই প্রতারক নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ওই মেট্রিমোনিয়াল সাইটে আবেদন করেন এবং ওই সাইট থেকে তার তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই না করেই প্রতারণার সুযোগ দিয়েছে। সেই মেট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে মোট ১,৪১১ জন তরুণীর প্রোফাইল থেকে বেছে নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন ওই প্রতারক।
দুশ্চিন্তার বিষয় হল, আজকাল শুধু ইন্টারনেটকে মাধ্যম করে অনেকেই বন্ধুত্ব করছেন কিংবা জীবনসঙ্গী করে নিচ্ছেন। তারা নিজেরা সঠিক ভাবে তথ্য যাচাই না করে, শুধু মেট্রিমোনিয়াল সাইটগুলোর উপর ভরসা করে বিয়ের মতো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন। আর এই যে সঠিক ভাবে তথ্য যাচাই না করার বিষয়টি প্রতারকরা জেনে গেছেন, এর ফলে তারা নির্দ্বিধায় কাউকে ঠকানোর কাজটি করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে ভেবে দেখুন, লিভ-ইন রিলেশনশিপ-ই হোক কিংবা বিয়ে, পুরো বিষয়টির উপর নির্ভর করছে জীবনের ভালোমন্দের বিষয়টি। অথচ শিক্ষিত হয়েও মেয়েরা এখনও একই ভুল করে চলেছেন।
আসলে অনেকেই এখন শর্টকার্ট রাস্তায় হাঁটছেন এবং জীবনে সুখের পরিবর্তে দুঃখকেই আহ্বান করে নিচ্ছেন। খুব দ্রুত যেমন মানসিক এবং শারীরিক সুখভোগের উপায় খুঁজে নিচ্ছেন, ঠিক তেমনই খুব তাড়াতাড়ি একা হয়ে যাচ্ছেন। মা-বাবা এক্ষেত্রে বড়ো অসহায়। কারণ তারা সন্তানকে স্বাধীনতা দিতে গিয়ে আর কোনও মতামত দিতে পারছেন না।
সম্প্রতি আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক দেরাদুন থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে বাসে এক যুবতির সঙ্গে আলাপ জমান এবং খাবারের সঙ্গে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে বেহুঁশ করে সবকিছু লুঠ করে নিয়ে পালিয়ে যান।
আসলে এই মুঠোফোনের দুনিয়ার আজকের প্রজন্ম এতটাই বিভোর থাকছেন যে, তাদের বাস্তব বুদ্ধি, বিচক্ষণতা লোপ পাচ্ছে অনেক সময়। মুঠোফোনের চক্রে পড়ে ভুল পথে পা বাড়াচ্ছেন যুবক-যুবতীরা। এখন তাই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন পড়ার উপর। কারণ ম্যাগাজিন কিংবা খবরের কাগজে সত্য ঘটনাকে তুলে ধরা হয় এখনও।