সাম্প্রতিক আইন মোতাবেক, চাইলে অবিবাহিত কোনও তরুণী কারওর সঙ্গে শারীরিক সুখভোগ এবং মা হতে পারেন। শুধু তাই নয়, মা হওয়ার পর কেউ চাইলে ধীরে ধীরে বাবা-র নাম বাদও দিতে পারেন সমস্ত ডকুমেন্টস থেকে। কিন্তু সারোগেসি-র অধিকার শুধু বিবাহিত এবং বিধবা মহিলারা পাবেন আর অবিবাহিতরা পাবেন না— এ এক ঘোরতর অন্যায়।

প্রাচীন রীতি অনুযায়ী আজও বিবাহিত মহিলারা পিতার পদবি ব্যবহার না করে স্বামীর পদবি ব্যবহার করেন। অথচ দেখুন দেবদেবীদের কোনও পদবি ব্যবহৃত হয় না। অবশ্য বিষয়টা এমন নয় যে, পৌরাণিক যুগে মহিলারা বেশি স্বাধীনতা পেতেন! আসলে যুগ বদলালেও মহিলাদের নির্ভরশীলতার বিষয়টি আজও বদলায়নি। এখনও মহিলারা পুরুষদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। তাই সম্ভোগের পর সঙ্গীকে অনায়াসে ভুলে যেতে পারেন পুরুষরা।

ভেবে দেখুন, আজও মেয়েদের জীবনযাপন জটিলতা আর অস্বচ্ছতায় ভরা। তাইতো আজও কোনও অবিবাহিত মহিলা চাইলে কারওর সঙ্গে শারীরিক সুখ ভোগ করতে পারলেও, ‘সারোগেট মাদার’ হতে পারেন না! আজও কেন মহিলাদের ইচ্ছাবিরোধী আইন বলবৎ আছে, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এটাই তো হওয়া উচিত যে, অবিবাহিত মহিলারা চাইলে কাউকে ডিম্বাণু দিতে পারেন, কারওর স্পার্ম নিয়ে মা হতে পারেন।

পুরুষ কিংবা মহিলা, কারওর শরীরের উপর আইনি শাসন চালানো উচিত নয় আদালত কিংবা সরকারের। কারণ শরীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি। সমাজে কারও কোনও ক্ষতি না করে কিংবা ক্ষমতার অপপ্রয়োগ না করে কেউ যদি কারওর সঙ্গে শরীরি সুখ নেন তাতে কার কী এসে যায়!

কিছু কিছু বিষয় খুবই অদ্ভূত লাগে ভাবলে! পৌরাণিক কাহিনি থেকে আমরা যেমন জেনেছি যে, স্বর্গে দেবতাদের খুশি করতে অপ্সরারা নৃত্য করতেন। ঠিক তেমনই দেবদাসী প্রথা কিংবা পরবর্তী সময়ে পানশালায় মহিলাদের নৃত্য পরিবেশন সবই প্রচলিত। বেশ্যাদেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে অথচ কোনও অবিবাহিত সভ্য মহিলা যদি ‘সারোগেট মাদার’ হতে চান, তাহলে তিনি এখনও আইনি জটিলতার শিকার হন!

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...