আমার ১০ মাসের ছেলে প্রায়ই অসুস্থ থাকে। কখনও পেটের অসুখ তো কখনও সর্দিকাশি। এর ফলে ও শারীরিক ভাবে খুব দুর্বল। ও যাতে বারবার অসুখে না পড়ে তার জন্য আমাকে কী করতে হবে?

আপনার বাচ্চা যদি বারবার অসুস্থ হয় তার মানে ওর ইমিউনিটি কম। ইমিউনিটি কম হওয়ার কারণ খাবারে প্রয়োজনীয় জিংক-এর ঘাটতি হতে পারে। নিরামিষ ভোজনে অভ্যস্ত পরিবারের শিশুদের মধ্যে জিংক-এর অভাব দেখা যায়। যদি ইমিউনিটির জন্য বাচ্চা বারবার অসুস্থ হয় তাহলে বাচ্চার শুধু শারীরিকই নয় মানসিক বিকাশও প্রভাবিত হতে পারে। সুতরাং বাচ্চাকে জিংক-যুক্ত আহার যেমন রেড মিট, দই, বাদাম, সবজি, হোল গ্রেন ইত্যাদি দিন। এছাড়াও চাইল্ড স্পেশালিস্ট-কে দিয়ে বাচ্চাকে পরীক্ষা করান যিনি বাচ্চাকে পরীক্ষা করে বলে দেবেন, সমস্যাটা কোথায়।

কয়েকদিন আগে আমি আমার ৭ মাসের ছেলেকে ডাক্তারের কাছে চেক-আপের জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার পরীক্ষা করে বাচ্চাকে আয়রন আর ভিটামিন দিতে বলেছেন। ভিটামিন এবং আয়রনের অভাব দূর করার জন্য সত্যিই কি ওষুধের প্রয়োজন আছে?

ডাক্তারের পরামর্শ শুনে আপনার চলা উচিত। শিশুর আহারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকা বাঞ্ছনীয়। ৬ মাস বয়সের পর শিশুর শরীরে আয়রনের ঘাটতি হওয়া অসম্ভব নয়। শরীরে খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত আয়রন এবং ভিটামিন না পৌঁছোলে, বাধ্য হয়ে ডাক্তাররা তখন ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন বাচ্চাদের জন্য।

সম্প্রতি আমি মা হয়েছি। আমার মেয়ের সবে ১ মাস বয়স হয়েছে। আমি অনেক বইতেই পড়েছি, সন্তানের জন্মের পর প্রথম ১০০০ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা কি সত্যি?

আপনি ঠিকই পড়েছেন। বাচ্চার প্রথম ১০০০ দিনই বলুন অথবা জন্মের পর প্রথম দুই বছর— এই সময়টা বাচ্চার গ্রোথের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে বাচ্চার স্বাস্থ্যের বুনিয়াদ তৈরি হয় এই বয়সেই। সাধারণত ৬ মাস পর শিশুর ওজন জন্মের ওজনের দ্বিগুন হয়ে যায় এবং এতটাই তাড়াতাড়ি শিশুর মানসিক এবং ব্রেনের বিকাশও ঘটে। সুতরাং ৬ মাসের পর থেকে শিশুকে ভিটামিন এবং মিনারেল-যুক্ত সলিড খাবার খাওয়ানো খুব দরকার, যাতে বাচ্চার মানসিক বিকাশ সম্পূর্ণভাবে হয়। এই বয়সে স্তনপানের সঙ্গে সঙ্গে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট-এর সঙ্গে ভিটামিন, আয়রন, জিংক-এর মতো মিনারেল শিশুর শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...