আর মাত্র কয়েকদিন পর চলতি বছরকে বিদায় জানিয়ে আমরা বরণ করে নেবো নতুন বছরকে। আর এই পুরোনোকে বিদায় আর নতুনকে বরণ করে নেওয়ার সন্ধিক্ষণে সুযোগ আসে অবসর যাপনের। তাই এই সময় চাই বিশ্রাম আর বিনোদনের রসদ। কিন্তু অবসরে হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়া কিংবা পার্টি-তে নাচ-গান করার পাশাপাশি যদি দু চোখ দিয়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করার সুযোগ করে নেওয়া যায়, তাহলে স্মররণীয় হয়ে থাকবে বছর শেষ আর শুরুর এই সময়টা। এরজন্য অবশ্য বহু দূরে যেতে হবে না, মাত্র কয়েক ঘন্টা জার্নি করেই পৌঁছে যাওয়া যায় রায়চকের গঙ্গাবক্ষের রাজকীয় পরিবেশে। এখানে সুন্দর প্রকৃতির পাশাপাশি, বিলাসবহুল আরাম-আয়াসের সমস্ত সুযোগ পাওয়া যাবে সহজে। প্রসঙ্গত ‘তাজ গঙ্গা কুটির রিসর্ট অ্যান্ড স্পা’-এর ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার ইন্দ্রনীল রায় জানিয়েছেন, রায়চকে গঙ্গার আবহে বর্ষবরণের সমস্ত ব্যবস্থা আছে। কেউ চাইলে মাত্র দু-তিন ঘন্টার জার্নি করে রায়চকে পৌঁছে, গান-বাজনা শুনতে শুনতে গালা ডিনার-এ মন ভরিয়ে নিতে পারবেন অনায়াসে।
আসলে, এখানে গঙ্গা-স্নান থেকে শুরু করে নৌকা ভ্রমণ, নদীর মাছের স্বাদ নেওয়া সবই সম্ভব। দিনে-রাতে মনোরম হাওয়া গায়ে মেখে, অবসর যাপনের মজা-ই আলাদা। এখানে একাধিক রেঁস্তোরায় আমিষ, নিরামিষ সবরকম খাবারের স্বাদ নিয়ে, লোকগান শোনার দারুণ সুবিধেও রয়েছে। শুধু কী তাই? যারা নদীতে স্নান না করে সুইমিং পুল-এ স্নান করতে চান, তাদের জন্য রয়েছে একাধিক সুইমিং পুল-এ স্নান করার ব্যবস্থা। রয়েছে ছোটো-বড়ো সবার জন্য বিস্তৃত খেলার জায়গা এবং শরীরচর্চার জায়গা। নীচে ঘাসের সবুজ চাদর, চারিদিকে সবুজ গাছ-গাছালি, সামনে বহমান গঙ্গা আর উপরে নীল আকাশের চোখ জুড়ানো শোভা, আহা, নয়নাভিরাম!

এখানে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে। গ্রাম্য আবহ যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে এখানে। গঙ্গার মনোরম দৃশ্য সফরকে করে তুলবে সার্থক। এছাড়া, অতিথিরা কিউরেট করা খাবার উপভোগ করতে পারবেন এই রিসর্টের সিগনেচার রেস্তোরাঁ মাচান আর হাউজ অফ মিং-এ। এই দুই রেস্তোরাঁর অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে গঙ্গার জলের মৃদু ছন্দ। রিভার ভিউ লাউঞ্জ আর বারান্দা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আদর্শ। খোলামেলা পরিবেশ, ইনফিনিটি-এজ পুল, আউটডোর পুল আর অত্যাধুনিক ফিটনেস সেন্টার-এ তাজা হয়ে ওঠার এবং অবসর বিনোদনের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে এখানে। সঙ্গে আছে ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলোর সুযোগ। সামগ্রিক সুস্থতার অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য রয়েছে স্পা সেন্টার। বিশাল চত্বরে উৎসব উদযাপন, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এবং কর্পোরেট রিট্রিট হিসাবেও আদর্শ।
গঙ্গার ধারে এই লোকেশন-এ আছে দুর্গের মতো সব স্থাপত্য আর নদীতীরের সৌন্দর্য। অতিথিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন, গ্রামে ঘুরে বেড়াতে পারেন আর বাংলার বিখ্যাত চায়ের ব্লেন্ডগুলো উপভোগ করতে পারেন এমন এক পরিবেশে, যা এই অঞ্চলের চিরকালীন মেজাজের উদযাপন।





