নারীশক্তি ছাড়া আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে কোন কিছুই সম্ভব হয়নি। যেমন মাতৃত্ব ছাড়া সন্তানের জন্ম ধারণ অসম্ভব ঠিক তেমনি এই নারীশক্তির প্রভাবেই সমাজ-সংসার, নানা সময়ে নানা পরিবর্তনের শরিক হয়েছে৷ পরিবর্তিত হয়েছে। নারীরা নিজেদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে চতুর্দিকে বিছিয়ে রেখেছেন। যদিও নারীকে আমরা পুরুষের হাতে বেশির ভাগ সময়ই, অবমাননা এবং অত্যাচারে লাঞ্ছিত অবস্থায়  দেখতে অভ্যস্ত — তবু এই নারীই সংসারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব এখন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন, বাড়ির পুরুষ সদস্যটির সঙ্গে। ফলে কর্মরতা অথবা উপার্জনশীল মহিলাদের সংখ্যাটা এখন অনেক। জীবনকে মসৃণ করতে একদিকে যেমন মহিলাদের দায়িত্ব বেড়েছে, অন্যদিকে মানসিক চাপও কয়েকগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।

চাকরি বা ব্যাবসা, সংসারের হাতা-খুন্তি, বাচ্চার যত্ন, বয়স্কদের কেয়ার-গিভার– এমন নানা ভূমিকায় মেয়েরা যুক্ত থাকেন। প্রতিটি কাজেই প্রয়োজন ধৈর্য ও বুদ্ধির প্রয়োগ। যারা সেই চাপ সামলাতে পারছেন, তারা সমস্যায় পড়ছেন না। কিন্তু সমস্যা বাড়ছে তাদের, যারা সমস্ত কাজের সমন্বয় স্থাপন করতে পারছেন না। আপনি নিজেও যে অতিরিক্ত মানসিক চাপের শিকার হয়েছেন, এটা বুঝবেন তখনই — যখন মানসিক দুশ্চিন্তার ফলে কাজকর্ম ব্যাহত হবে। খিদে না পাওয়া, ভয় ভয় ভাব, অযথা টেনশন করা, ঘুম কমে যাওয়া, ঘন ঘন মলমূত্র ত্যাগ, এসবই মানসিক চাপ নিতে না পারার প্রাথমিক লক্ষণ।

আমাদের শরীরে বিভিন্ন হরমোনের মধ্যে, অন্যতম হল কর্টিজোল হরমোন। মানসিক চাপ বাড়ার ফলে এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে থাকে। ফলে নানারকম রোগের সূত্রপাত হয়। করোনারি হার্ট ডিজিজ, হাই ব্লাড সুগার, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকা, ক্যানসার হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়া, এমন নানা রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।

চাপ এড়াবেন কী ভাবে?

  • টাইম ম্যানেজমেন্ট রপ্ত করতে হবে। কাজ আর বিশ্রামে যেন সমন্বয় থাকে
  • বাড়িতে থাকলে, বাড়ির অন্য সদস্যদের সাহায্য নিতে হবে সংসারের কাজে। অফিসে সহকর্মীদেরও সহযোগিতা চাইতে হবে
  • কতটা কাজের চাপ আপনি নিলে, তা সময়মতো শেষ করতে পারবেন সেটা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। বাড়তি কাজের বোঝা চাপলে ‘না’ বলতে হবে
  • কঠিন সমস্যায় পড়লে অন্তত একজন বন্ধু বা শুভাকাঙ্খীর সঙ্গে সমস্যাটা ডিসকাস করুন। এতে সমাধান খোঁজা সহজ হবে
  • শত ব্যবস্ততার মাঝেও নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নিতে হবে। যে-সময়টাতে নিজের ভালো লাগার জিনিসে ইনভলভড থাকতে পারবেন
  • প্রতিদিন প্রাণায়াম করুন ও পুষ্টিকর খাবার খান
  • টেনশন হলেই নেশার সামগ্রী আঁকড়াবেন না
  • মাঝেমধ্যে কাউন্সেলিং করান। মন হালকা হবে। 
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...