ওজন কমানোর জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ‘ডায়েট’ শব্দটা শুনলেই অনেকে ভাবেন অল্প খাওয়াদাওয়া করা। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা একেবারেই সেরকম নয়।দিনের পর দিন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কম খেলে সেক্ষেত্রে আপনার মেটাবলিজম কমে যেতে পারে। অর্থাত্ আপনি যতই কম খান না কেন, সেটা ধীরে ধীরে হজম হবে। ফলে কোনওদিন একটু বেশি খেলেই তা ফ্যাট হিসেবে শরীরে স্টোর হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
দেহের ওজন আয়ত্বে রাখতে হলে, খেতে হবে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার। এমন হবে সেই খাবার, যা শরীরকে হাইড্রেট রেখে, ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
বাজারে সহজলভ্য কিছু উপকরণকে আমরা ওজন কমানোর জন্য বেছে নিতে পারি। এর মধ্যে আছে করোলা, কাঁচা আম এবং তরমুজ। এই তিনটি উপকরণ দেহের চর্বি কমিয়ে ওজনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কমেছে হাঁটাচলা, পরিশ্রম। তাই, গৃহবন্দি থেকেও কীভাবে ওজন কমাবেন, বিশদে জেনে নিন।
- করোলা : তেতো স্বাদের এই সবজিটি রান্না করে খেলে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমবে এবং শরীরের ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করবে। আর ক্যালোরি গ্রহণ কমলে, দেহের ওজনও কমবে।
- কাঁচা আম : কেটে, নুন মাখিয়ে কিংবা চাটনি বানিয়ে খেতে পারেন কাঁচা আম। আর এই আম ফাইবার, ম্যাগনেসিযাম, অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস এবং আয়রন সমৃদ্ধ। এটি তাই খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। আর খিদে নিয়ন্ত্রণ করার কারণেই, দেহের ওজনও আয়ত্তে থাকে।
- তরমুজ : তরমুজ খেলে যেমন শরীরে জলের ঘাটতি হবে না, ঠিক তেমনই এতে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট লাইকোপেন থাকার কারণে, দেহের ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করবে। আর চর্বি না জমলে, দেহের ওজন বেড়ে যাওযারও সম্ভাবনা থাকবে না।
এগুলি খাওয়ার পাশাপাশি, সম্ভব হলে ওজন নিয়ে ব্যায়াম করুন। বডিওয়েট এক্সারসাইজ, যেমন পুল আপ, পুশ আপ, স্কোয়াটস্ ইত্যাদি করুন। এতে শরীরে পেশি বৃদ্ধি পাবে। পেশি যত বাড়বে, ততই আপনার মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে। তখন বেশি খেলেও সেই ক্যালোরি দ্রুত খরচ হয়ে যাবে।