প্যান্ডিমিকের জেরে এখন অনিয়মিত অফিস যেতে হচ্ছে। বেশিরভাগ দিনই বাড়িতে থেকে কাজ করছেন অনেকে। আর সেটা করতে গিয়ে, অসচেতন ভাবে গড়ে উঠছে যখন তখন মুখ চালানোর হ্যাবিট। ফল ওভার ইটিং। এটা-ওটা খাওয়ার দরুন ওজন বেড়ে যাচ্ছে। একদিকে ঘাম ঝরানো পরিশ্রম কমে যাওয়া, অন্য দিকে ওজন বেড়ে যাওয়া এই দুয়ের মধ্যে ব্যালেন্স করবেন কী করে, জেনে নিন।
ব্রেকফাস্ট–এ রাখুন প্রোটিন
একটি গবেষণায় জানা গেছে, প্রাতরাশে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ডোপামিন হরমোনের স্তর বৃদ্ধি পায়, যার ফলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। তাই ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চ-এর মাঝখানে যাতে খাবার ইচ্ছে তৈরি না হয়, ব্রেকফাস্ট-এ অবশ্যই প্রোটিন রাখুন। ডিম, সোয়াবিন,অঙ্কুরিত মুগ, ব্রেকফাস্ট-এ সামিল করুন।
খাবার খাওয়ার ইচ্ছে সংযত করুন
বিটুইন মিল্স খাবার খাওয়ার ইচ্ছেকে দমন করলে, তবেই ওভার ইটিং-এর সমস্যা এড়াতে পারবেন। চেষ্টা করুন খাবার জিনিসের কথা না ভাবতে। চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খেলে মুখ চালানোর ইচ্ছে বা ক্রেভিং-টা খানিকটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
অল্প খাওয়া অভ্যাস করুন
যখনই খান না কেন, পরিমাণে কম খাওয়া অভ্যাস করুন। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া মানেই, হয় হজমের সমস্যা, আর নয়তো ওজনের সমস্যা। সুতরাং কম খান। ভাজাভুজির ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। একান্ত লোভ সামলাতে না পারলে খুব অল্প করে খান শ্যালো ফ্রায়েড বা বেকড আইটেম।
জলের সাহায্য নিন
ওভার ইটিং ঠেকাতে সাহায্য করবে জল। যখনই খাই খাই মন হবে, খানিকটা জল খেয়ে নিন। এতে একদিকে যেমন খিদে বোধ চলে যাবে, অন্যদিকে আপনার ইন্টার্নাল সিস্টেম হাইড্রেটেড থাকবে। তবে কোল্ড ড্রিংকস না খাওয়াই ভালো।
ফল খেয়ে পেট ভরান
ভরপেট খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই যদি আবার খিদে পেয়ে যায়, তাহলে যে-কোনও ফল গোটা খান। এটার দরুন বাড়তি কিছু ক্যালোরি গেইন করার ভয়ও থাকবে না, আবার পেটও ভরবে। গোটা ফল খেতে ইচ্ছে না করলে, নানা রকমের ফল দিয়ে তৈরি ফ্রুট স্যালাড খেতে পারেন। সুস্বাদু করতে একটু চাটমশলা ছড়িয়ে নিন৷
বেশিক্ষণ ধরে চিবিয়ে খান
একটি গবেষণায় জানা গেছে, খাবার বেশি করে সময় নিয়ে চিবিয়ে খেলে, মিল প্রতি ৭০ ক্যালোরি কম ইনটেক হয়। তবে এর অন্য সুফলটি হল, এর দরুন আপনি ওভার ইটিং এড়াতে পারবেন৷