শরীর স্লিম ও ট্রিম রাখতে কে না পছন্দ করেন? একই সঙ্গে ফিটনেস মন্ত্রটাও যদি কাজ করে তাহলে তো হাতে প্রায় চাঁদ পাওযার মতো অবস্থা। কিন্তু সবার ভাগ্য এতটা সুপ্রসন্ন হয় না। সামান্য খাওযাদাওযার এদিক-ওদিক হলেই শরীরে মেদ জমতে আরম্ভ করে। রোজ ব্যায়াম বা জিম করতে আলসেমি লাগে অথবা সকাল বিকেল ব্রিস্ক হাঁটাটাও নিয়ম মেনে কিছুতেই হয়ে ওঠে না। সেইক্ষেত্রে ভারতীয় ভেষজ উপাদানেই আছে চটজলদি ওজন কমাবার উপায়। সকালে উঠে গরমজলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খান অথবা ১ কাপ জলে জিরা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে জলটা খেয়ে নিন, ওজন কমবে। মেথিদানা ব্যবহার করেও দেখতে পারেন, উপকার পাবেনই। একই সঙ্গে সাইড এফেক্টসও নেই।
১) মেথি ভেজানো জল খান, যা খুব দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। মেথি ভেজানো জল খিদে কমায়। অল্প খেলে শরীরের ওজন কমবে। এছাড়াও জলের মধ্যে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে যদি চিবিয়ে মেথিদানা খেতে পারেন তাহলেও শরীরের মেদ কমবে।
২) মেথিদানা ফোটানো জল ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে ডাযাবেটিজ ও রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে হজম শক্তি বাড়ায়। জলের সঙ্গে মেথিদানা পিষে, সেই পেস্ট বেশ খানিকটা জলে (২ গেলাস) ফুটিয়ে নিন। এতে আদা, দারচিনিও মেশাতে পারেন। পুরো মিশ্রণটা পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে সেই জল রোজ সকালে খালি পেটে খান।
৩) মেথিদানায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, ক্যারোটিনয়ে। এছাড়াও নানা খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ এটি। একটি পাত্রে মেথিদানা রেখে সেটি ভিজে কাপড় দিয়ে ৩-৪ দিন ঢেকে রেখে দিন। মেথিদানাগুলি অঙ্কুরিত হলে সেগুলি রোজ খান। ওজন কমবে।
৪) মধুর সঙ্গে মেথিদানা ভেজানো জল মিশিয়ে খেলে ওজন কমবে। মেথি গুঁড়ো করে জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে এবং অন্তত তিন ঘন্টা পর সেটি ছেঁকে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করতে হবে।
৫) মেথি শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন। ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খান। দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে মেথিদানার। ডাযাবেটিজ নিয়ন্ত্রণ করে, যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের, ব্রেস্ট মিল্ক বাড়াতে সাহায্য করে, পিরিয়ড চলাকালীন ক্র্যাম্প এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক রোধ করে, লিভারকে সুরক্ষিত রাখে এবং হজমের সমস্যাও দূর করে।