বিশ্বব্যাপী কোভিড ১৯-এর কারণে বড়ো বড়ো ফ্যাশন শো গুলো এখন বন্ধ। সাধারণত এগুলোর মাধ্যমেই ফ্যাশন ডিজাইনার-রা নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডস সারা বিশ্বের মানুষের সম্মুখে নিয়ে আসেন।
সম্প্রতি প্যান্ডেমিকের আবহে ভারতেও ফ্যাশনের উপর একটা বড়ো প্রভাব পড়েছে। যা এতদিন কর্মক্ষেত্রে, অফিসে পরে যাওয়া হতো, তাতেও অনেকটা পরিবর্তন চোখে পড়ছে। অফিসে না গিয়ে বহু মানুষ এখনও ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এই কাজ চালাচ্ছেন। ফলে ফর্মাল পোশাকের থেকে কমফর্টেবল পোশাকের ফ্যাশন এখন বেশি সম্ভাবনার মুখ দেখছে। এছাড়াও এই মুহূর্তে পোশাকে ইনডোর ফ্যাশন ট্রেন্ড-এর উপরেই ডিজাইনার-রা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
বাইরের অনুষ্ঠান উৎসব বেশ কিছু কিছু পালিত হলেও সোশ্যাল গ্যাদারিং-এর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কোভিড-এর vaccine এসে গেলেও মানুষ বাইরে বেরোতে এখনও কমফর্টেবল হতে পারছে না।
অনলাইন শপিং-এর মাধ্যমেই এখন বেশির ভাগ মানুষ নতুন এই স্টাইল স্টেটমেন্ট-এর সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াচ্ছেন। ফ্যাশন ট্রেন্ড এখন কী চলছে আসুন দেখে নেওয়া যাক -
আরামদায়ক পোশাকের চাহিদা বেশি : প্যান্ডেমিক-এর শুরু থেকেই প্রপার ড্রেস-আপ নিয়ে কেউই আর বেশি মাথা ঘামাচ্ছে না। আরামদায়ক পোশাক-ই এখন লিস্ট-এর একেবারে উপরে।
সোয়েট শার্ট, টাইটস, কমফর্টেবল ক্রপ টপস এখন ইযং জেনারেশনের পছন্দের তালিকায়। ক্যাজুয়াল, কমফর্টেবল পোশাক যা কিনা ডিজাইন করা হয়েছে এক্সারসাইজ এবং ডেলি উইয্যার হিসেবে, তাই এখন সকলের পছন্দের শীর্ষে। সারাদিন বাড়িতেও এই ধরনের পোশাকে কাটানো যায় আবার বাইরে বেরিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতেও, এই পোশাকে কোনও অসুবিধা হয় না। আবার ওয়ার্ক আউট করে ঘাম ঝরাতে চান, তাও অসুবিধা নেই।
এছাড়াও এই ধরনের হাইব্রিড ক্লোদিং ট্রেন্ড চলাকালীন অনেক মেযেরাই বিভিন্ন স্টাইল এবং প্রিন্ট নিয়ে বাড়িতেই এক্সপেরিমেন্ট করা পছন্দ করছেন।
ফেস মাস্ক : এটি পোশাকের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ফেস পিল অফ অথবা চারকোল ফেস মাস্ক নিয়ে চর্চা করার দিন শেষ। সৌন্দর্যের দম্ভ এখন সুরক্ষার আঁচলে ঢাকা পড়ে গেছে। প্রোটেকটিভ ফেস মাস্ক এখন জরুরি প্রযোজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং মাস্ক তৈরিতে নানা রকম ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে ডিজাইনার-রা এখন উঠেপড়ে লেগেছেন।