বেশি মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার খেলেই শরীর সুস্থ রাখা যায় না। অবিলম্বে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাত্রায় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার  খাওয়া বন্ধ করুন। অতিরিক্ত পুষ্টি শরীর সঞ্চয় করে রাখতে পারে না। সে ক্ষেত্রে, এই পুষ্টিগুলো এক হয় মেদে পরিণত হয়, অন্যথায় শরীর থেকে বিভিন্ন উপায়ে বেরিয়ে যায়।ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে দেখা দিতে পারে নানান শারীরিক সমস্যা। তাই জেনে নিন কেন বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড এবং কীভাবে বাঁচবেন ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার কারণ

  • প্রোটিনযুক্ত খাবারে পিউরিন থাকার কারণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় শরীরে। তাই, কেউ যদি নিয়মিত মাংস, বাঁধাকপি, কড়াইশুঁটি প্রভৃতি বেশি পরিমাণে খান, তাহলে তার ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল
  • দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলেও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে শরীরে
  • যারা ডায়াবেটিস-এ ভুগছেন তাদের শরীরেও বেড়ে যেতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা
  • মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে কিডনি। তাই, কিডনি যদি ত্রুটিযুক্ত হয়, তাহলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড সমস্যা তৈরি করতে পারে
  • জেনেটিক কারণেও শরীরে বেড়ে যেতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ
  • স্থূলতার কারণেও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে শরীরে।

আয়ত্তে রাখার কৌশল

আপনার খাদ্য-তালিকায় পেঁয়াজ রাখুন। কারণ পেঁয়াজে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস উপাদান পরিপাকে সাহায্য করে এবং শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আয়ত্তে রাখে। এছাড়া, প্রোটিন-যুক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে বেশি খান ফাইবার-যুক্ত খাবার। প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার জল পান করুন। বন্ধ করুন ধূমপান এবং মদ্যপান। আর, শরীরচর্চা করুন নিয়মিত।

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ই । মেটে, মুরগির মাংস, বাদাম, আপেল, বিট, রাঙালু ও ব্রকোলিতে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়।

ভিটামিন সি-ও একই কাজ করে থাকে। পেয়ারা, কমলা লেবু, বেল পেপার, পাতিলেবুতে ভিটামিন সি থাকে। ম্যাগনেসিয়ামও গাউট সমস্যা মুক্তির জন্য খুব উপকারী।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...