নিজেকে ভালো রাখার প্রাথমিক দায়িত্ব নিতে হবে নিজেকেই। এর জন্য নীতি নির্ধারণ এবং সংকল্প গ্রহণের প্রয়োজন। অর্থাত্, সুস্থ-স্বাভাবিক থাকার তাগিদ থাকতে হবে।অবশ্যই খাবারের পরিমাণ এবং ক্যালরির দিকে নজর দেয়া উচিত। আমরা যারা স্বাভাবিক কাজ কর্মের মধ্যে থাকি তারা সব সময় ব্যায়ামের দিকে খুব একটা নজর দিই না। কিন্তু শরীরটা তো ঠিক রাখা চাই। তাই নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম আপনার দৈনিক রুটিনে এনে ফেলুন। শরীরে বাড়তি মেদ ঝরাতে গেনে একটু পরিশ্রম তো করতে হবেই। আপনি চাইলেই আপনার ওজন নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ ঝরাতে আপনাকে কী করতে হবে? পোড়াতে হবে ক্যালোরি। যত ক্যালোরি বাড়তি খাচ্ছেন প্রতিদিন, ততখানি ঝরিয়ে ফেলতে পারলেই বাড়বে না ওজন। আর একটু বেশি ঝরাতে পারলেই ওজন কমতে শুরু করবে। ওজন কমানো মানেই জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা নয়, বরং নিজের দৈনন্দিন জীবনের ফাঁকেই একটু বুদ্ধি করলে ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন বাড়তি মেদ৷ এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, সুস্বাস্থ্যের কিছু মানদণ্ড আছে এবং তা মেনে চলা আবশ্যক। যেমন—
- স্বাভাবিক ভাবে কাজ কিংবা পরিশ্রম করার শক্তি থাকতে হবে
- দৃষ্টিভঙ্গি স্থির থাকা আবশ্যক। অর্থাত্, প্রতিটি কাজে চাই ইতিবাচক মনোভাব
- পরিশ্রমের নিরিখে, আরাম এবং ঘুমের প্রযোজন
- প্রকৃতি, আবহাওয়া, জলবাযু এবং আশপাশের মানুষের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে
- সাধারণ সর্দি-কাশি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকা আবশ্যক
- বয়স এবং উচ্চতা অনুযাযী বজায় রাখতে হবে শরীরের ওজন
- চোখের স্বাভাবিক উজ্জ্বল দৃষ্টি বজায় রাখতে হবে
- মুখের ভেতর এবং শরীরকে রাখতে হবে দুর্গন্ধহীন
- চাই খুসকিবিহীন চুল এবং তেলবিহীন ত্বক
- শরীরের হাড় এবং পেশিসমূহকে রাখতে হবে ব্যথাহীন।