সন্তানের জন্মের পরে মায়ের শরীরে হরমোনজনিত যে সব পরিবর্তন ঘটে, তাতে ঠোঁটের চারপাশে, গালে আর কপালে পিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে । এটিকে বলা হয় মেলাস্মা । দ্বিতীয় যে-পরিবর্তনটি সন্তানের জন্মের পরে মায়েদের ত্বকে প্রায়ই দেখা যায়, তা হল অ্যাকনে। এটির কারণ হল, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে পরেই হরমোনের ভারসাম্যে তারতম্য হয় বলে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে শরীরের তৈলগ্রন্থিগুলি থেকে আর ত্বকের বন্ধ ছিদ্রগুলি থেকে তৈলাক্ত পদার্থের ক্ষরণ বাড়ে।
হ্যালিউরনিক অ্যাসিডযুক্ত ভালো গুণমানের ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহার করলে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হওয়া কমাতে সহায়তা করে। সানস্ক্রিন আর ডিমেলানাইজ্ং ক্রিম হাইপারপিগমেন্টেশনের মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে ।
আপনি ত্বকের সুরক্ষার জন্য নিয়ম করে ১০ মিনিট সময় খরচ করুন ।উদ্দেশ্য একটাই| ত্বক যেন হয়ে ওঠে তরুণতর, উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যের দীপ্তিতে ভরপুর আর কোনও সমস্যা যেন তাকে স্পর্শ করতে না পারে| ত্বকের যত্নে যে নিয়মই অনুসরণ করুন না কেন, তা কিন্তু নিয়মিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি| তা না হলে ত্বকে তার সুফল ধরা পড়বে না| এর জন্য আপনাকে প্রচুর টাকা খরচ করে নানা ট্রিটমেন্ট করাতে হবে না, বা দামি দামি স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টও কিনতে হবে না| পুরোনো, পরিচিত কিন্তু নির্ভরযোগ্য সামগ্রী, যেমন ভেসলিন পেট্রোলিয়াম জেলিও সময়ে সময়ে আপনার ত্বকের সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট। বিশেষ করে সরু সরু বলিরেখা বা ত্বকের কুঞ্চনের মতো কিছু নাছোড় সমস্যার ক্ষেত্রে তা দারুণ কার্যকর|
ভেসলিন তৈরি হয় মিনারেল অয়েলস আর মোম দিয়ে, তার ফলেই এর ঘনত্ব জেলির মতো হয়| এই ধরনের টেক্সচার ত্বকে জল আর আর্দ্রতা ধরে রাখার পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী|এটি নাইট ক্রিম হিসেবে দারুণ কাজ করে| ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখে লাগিয়ে নিন ভেসলিনের পাতলা স্তর, তাতে জল আর আর্দ্রতা ত্বকেই ধরা থাকবে, বাইরে আসতে পারবে না। তাই সারা রাতে ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যাতেও ভুগবেন না|