আর-পাঁচজন বলিউডের অভিনেত্রীর থেকে তিনি সবসময়ই আলাদা। তা সে চরিত্র নির্বাচনেই হোক, বা ছবির বিষয়। বড়ো পর্দার পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও ভূমি পেডনেকর এখন একটি চর্চিত নাম।তাঁর ছবিতে তাই দর্শক সবসময়ই আলাদা কিছু খুঁজে পান।আর এটাই ভূমির ইউএসপি। তাঁর ছবি দেখার পর দর্শকরা বিষয়টি নিয়ে ভাবেল, আলোচনা করেন কিংবা তর্ক করেন। এখানেই ভুমির কাজের সার্থকতা। ছবির বিষয়বস্তুতেই এমন কিছু থাকে যা মানুষকে ভাবায়।এমন একটা সোস্যাল মেসেজ অবশ্যই থাকে যা সমাজের উপর গভীর ভাবে রেখাপাত করে। তাঁর কেরিয়ারের মাত্র পাঁচ বছরের এই সফরে ভূমি, তাই বলিউডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন।
‘দম লগা কে হেঁইশা’-র স্মল টাউন গার্লই হোক কিংবা টয়লেট এক প্রেম কথা-র দৃঢ়চেতা গৃহবধূ – ভূমি সবেতেই সাবলীল। আর সেই জন্যই ‘শুভ মঙ্গল সাবধান’, ‘ষাঁণ্ড কি আঁখ’, ‘পতি পত্নী অউর উয়ো’ কিংবা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মিত ‘সোনচিড়িয়া’ বা ‘ডলি কিটি অউর উয়ো চমকতে সিতারে’ —সবেতেই ছবির বিষয়বস্তু ছাড়াও, অলাদা করে তাঁর পারফর্মেন্স আলোচনায় উঠে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে ভূমির বক্তব্য, ‘আমি মনে করি সিনেমা শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যমই নয়- এতে দেখানো বিষয়গুলির একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাবও আছে। আমার ছবি নির্বাচনও এটা মাথায় রেখেই করি আমি, যা একটা বড়ো ধরনের সামাজিক পরিবর্তনের অংশ হয়েছে বা ভবিষ্যতে হবে।একটা সোশ্যাল মেসেজ সবসময় দেওয়ার চেষ্টা করি ঠবির মাধ্যমে।‘পতি পত্নী অউর উয়ো’-র মতো ছবি আপাতভাবে বিনোদনমূলক হলেও, এর গভীরে সামাজিক চাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার একটা বার্তা আছে।খুব বলিষ্ঠ একটা বক্তব্য আছে যে, বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা বা না থাকার সিদ্ধান্তটা একক ভাবে একটি মেয়েরই। সমাজ কখনওই তা তার হয়ে ঠিক করে দিতে পারে না।‘
যশরাজ ফিল্মস –এর ব্যানারে ভূমি অভিনীত ‘দুর্গাবতী’ , আগামী মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা। তার আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি খুশি যে তাঁর ছবির জন্য একটি নির্দষ্ট শ্রেণির দর্শক তৈরি করতে পেরেছেন ভূমি।তাঁর কাজ ভালো লেগেছে দর্শকদের।যতই গম্ভীর প্রসঙ্গ উঠে আসুক না কেন, বস্তুত বিনোদনই ছবির উপজীব্য। তাই আগামীতেও, সহজ কথার মধ্যে দিয়ে জীবন, সমাজ, নারী স্বশক্তিকরনের বিষয়গুলিই উঠে আসবে তাঁর ছবিতে।