নতুন প্রজন্ম এখন ঠিক কী ধরনের গানে নিমজ্জিত জানেন? এরা হল কে-পপ ফ্যান। অর্থাৎ তাদের প্লে-লিস্টে কোরিয়ান গানের লম্বা তালিকা। গানের লিরিক জলের মতো মুখস্থ। প্রতিটি জনপ্রিয় ব্যান্ডের ইতিহাস, দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিও তাদের নখদর্পণে। বিশ্বের অন্য দেশগুলির মতোই ভারতীয় টিনএজারদের মধ্যেও কোরিয়ান ব্যান্ডেরই জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে।
এর মধ্যে অন্যতম পপুলার ব্যান্ড বিটিএস বা বাঙ্গটান বয়েজ। দক্ষিণ কোরিয়ার এই গানের দল বিটিএস, যাত্রার পর থেকেই চমক দেখিয়ে চলেছে। তারুণ্যনির্ভর এই দল ‘ডাইনামাইট’ গান দিয়ে বাজিমাত করেছে সারাবিশ্বের সংগীত অনুরাগীদের মনে। জয় করেছে অনেক স্বীকৃতি ও সাফল্য। গত বছরই বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে টপ সোশ্যাল আর্টিস্ট বিভাগে জাস্টিন বিবার ও সেলেনা গোমেজকে হারিয়ে নজর কেড়েছে এই ব্যান্ড।
তবে ভারতে এদের ফ্যানবেস বরাবর মাত্রাতিরিক্ত। শুধু তাই নয়, কোরিয়ান গানের দল হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পেয়ে নতুন ইতিহাসও তৈরি করেছিল তারা। গেল আগস্ট মাসে মুক্তি পাওয়া তাদের জনপ্রিয় গান ‘ডায়নামাইট’ এর জন্যই লেডি গাগা, টেইলর সুইফটের পাশাপাশি ‘সেরা পপ ডুয়ো/ গ্রুপ পারফরম্যান্স’ বিভাগের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল বিটিএস।
সাত সদস্যের এই ব্যান্ড ২০১৩য় ডেবিউ করে ‘নো মোর ড্রিম’ গানটি দিয়ে। অ্যালবামের নাম ছিল ‘টু কুল ফোর স্কুল’। সদস্যদের সকলেরই বয়স পঁচিশের কাছেপিঠে। জিমিন, ভি, জুংকুকের গানেই বুঁদ এখনকার প্রজন্ম।মিউজিক ব্যান্ড হিসেবে জনসংযোগের জন্য সবচেয়ে বেশি টুইটার ব্যবহার করায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও করেছে বিটিএস।
এদের এই বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের (ইউএমজি) সঙ্গে মিলিত হচ্ছে কে-পপ মিউজিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বিগ হিট এন্টারটেইনমেন্ট। এর মাধ্যমে পরবর্তী কে-পপ বয় ব্যান্ডের সন্ধান করবে সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানটি। ইউএমজির গেফেন রেকর্ডস এবং বিগ হিট কর্তৃক একটি যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সংস্থার মাধ্যমে নতুন গ্রুপটি প্রকাশ করা হবে।
গেফেনের সংগীত প্রযোজনায় কাজ করেছে নির্ভানা, গানস এন রোজেস এবং এলটন জনের মতো শিল্পীরা। নতুন ব্যান্ডটির বেস হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি কে-পপ সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ প্রকাশ করছে মার্কিন সংগীত প্রতিষ্ঠানগুলোও। সংগীতের ক্ষেত্রে ভাষা যে আদৌ কোনও সীমাবদ্ধতা তৈরি করে না, বিটিএস–এর বিপুল জনপ্রিয়তাই তার প্রমাণ।