পর্দায় এবার ‘গডসে’ কাহিনি৷ তুলে ধরবেন মহেশ মঞ্জরেকর৷ পরিচালক-অভিনেতা Mahesh Manjarekar ক'দিন আগেই পালিত গান্ধিজয়ন্তীতে এই ছবির ঘোষণা করেছেন৷ছবির বিষয়বস্তু বেশ আলোচিত হতে শুরু করেছে সিনে-মহলে৷কারণ গান্ধিজিকে হত্যা করার ঘটনাও দেখানো হবে ছবিতে। গান্ধিজয়ন্তীতে এই সিনেমার পোস্টার এবং লোগো প্রকাশ্যে এনেছেন মহেশ-- যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সিনে লাভারদের মন্তব্য, “জাতির জনক বাপুর জন্মদিনেই কিনা তাঁর হত্যাকারীকে নিয়ে সিনেমা তৈরির কথা ঘোষণা করলেন Mahesh Manjarekar!” এটাই বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে।

গান্ধি প্রসঙ্গ বরাবরই একটু স্পর্শকাতর৷ এর আগে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে গান্ধি নামক একটি ছবি নির্মাণ করেন রিচার্ড অ্যাটেনবরো৷ সেখানে দেখানো হয়েছে ব্রিটিশরা গান্ধিকে পরমাত্মীয় বলে জ্ঞান করত। এ রকমটা হওয়ার সম্ভাব্য কারণ ছিল গান্ধির আদর্শগত অবস্থান। একবার দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধিকে শুধু গাত্র বর্ণের কারণে ট্রেন থেকে লাঞ্ছিত করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কারণ প্রথম শ্রেণির কামরায় শ্বেতবর্ণ ছাড়া কোনো ভারতীয় বা কৃষ্ণাঙ্গ চড়তে পারত না। এ বিষয়টি গান্ধি মেনে নিতে পারেননি। তাই সেখানে ভারতীয়দের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন। তবে একটি বিষয় তিনি মেনে নিয়েছিলেন, তা হল ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদ। তাই ভারতছাড়ো আন্দোলনে তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে শসস্ত্র আন্দোলনের পথে পা বাড়াতে চাননি। গান্ধি ছবিতে তাকে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘উই আর মেম্বারস অব দ্য এম্পায়ার ... আওয়ার রাইট টু বি ট্রিটেড অ্যাজ ইকুয়াল সিটিজেন অব দ্য এম্পায়ার।’

এবার এটাই দেখার মহেশ মঞ্জরেকরের তাঁর Nathuram Godse  চরিত্রের জীবন কাহিনিভিত্তিক ছবিতে, ঠিক কী কী ঘটনায় আলোকপাত করেছেন।‘গডসে’র মতো একটা বিতর্কিত কাহিনি পর্দায় তুলে ধরতে গেলে যে নানা বিতর্কের অবতারনা হবে, তা পরিচালকের অজানা নয়৷তবু কেন করছেন এই ছবি, এই প্রসঙ্গে তাঁর উক্তি, “নাথুরাম গড়সের কাহিনি বরাবরই আমার নিজের খুব পছন্দের। এই ধরনের ছবির একটা গবেষণামুলক দিক আছে৷ বানাতে একটা আলাদা উদ্যম ও পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়৷আমি সবসময়েই একটু আলাদা ধরনের গল্প নিয়েই কাজ করতে পছন্দ করি। আমজনতা নাথুরাম গডসেকে গান্ধিজির হত্যাকারী বলেই চেনেন, এছাড়া তাঁর সম্পর্কে আর কিছুই তেমন জানেন না।এই ছবিতে তাঁর সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে চেয়েছি৷ তবে বলে রাখা প্রয়োজন, এই সিনেমার মাধ্যমে কারও ভাবমূর্তি বা গরিমা বাড়ানোর দায়িত্ব আমি নিচ্ছি না৷ কারও বিরুদ্ধাচরণও করতে চাই না। সেটা বিচার করার দায়িত্ব দর্শকদের উপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। আমি কেবল ইতিহাস ও সময়টিকে পর্দায় তুলে ধরতে চাই৷”

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...