বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মীনা কুমারী। এবার তাঁরই বায়োপিক তৈরি করা দিয়ে পরিচালনায় পদার্পণ হতে চলেছে ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রার। ফ্যাশনের দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাম মণীশের৷ তাঁকে হঠাৎ পরিচালকের ভূমিকায় দেখা যানে শুনে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। এবার সেই খবরকেই মান্যতা দিলেন খোদ ফ্যাশন ডিজাইনার। মণীশ নিজেই জানিয়েছেন, এবার পরিচালনায় হাতেখড়ি হচ্ছে তাঁর।

মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন অভিনেত্রী মীনা কুমারী। যকৃতের অসুখ কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। তবে সেই স্বল্প দিনের চলচ্চিত্র কেরিয়ারে ৯০টির বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন শিল্পী।সূত্রের খবর মীনা কুমারীর বায়োপিকটি প্রযোজনার দায়িত্বে থাকছে ভূষণ কুমারের সংস্থা টি-সিরিজ।

একটি মিডিয়াকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে মণীশ মালহোত্রা জানিয়েছেন, 'মীনা কুমারীকে নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধতার শেষ নেই৷ এক সময় অভিনেত্রী রেখা আমাকে বলেছিলেন, ৪০-এ পা দেওয়ার পরে নাকি মীনা কুমারীর জীবনকে আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারব। এমনকী শুধু মীনা কুমারী নন, নার্গিস, গুরু দত্ত, দিলীপ কুমারের জীবনকেও নতুন চোখে আবিষ্কার করতে পারব। এখন তাঁদের সিনেমা দেখে জিনিসগুলি আত্মস্থ করতে পারছি'।

এত দিন ফ্যাশনের জগত নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বলিউড শিল্পীদের সঙ্গে কাজের সূত্রেই অন্তরঙ্গতা মণীশের। ফিল্মের এই দুনিয়াকে বেশ কাছ থেকেই দেখেছেন তিনি৷ তাই ছবি তৈরি নিয়ে তাঁর আগ্রহ অমূলক নয়৷  প্রতিষ্ঠিত এই ফ্যাশন ডিজাইনার,  এবার ছবি পরিচালনায় মন দিতে চান।স্ক্রিপ্টের উপর কাজ চলছে। ডিজাইনার আরও জানিয়েছেন, মীনা কুমারীর উপর লেখা বইগুলিও তিনি পড়ছেন চরিত্রটিকে আরও ভালো ভাবে বুঝতে।

কিন্তু মণীশ তাঁর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে যতই দৃঢ় হোন না কেন, তাঁর এই কাজে বাধ সেধেছেন খোদ মীনা কুমারীর পালিত পুত্র তাজদার আমরোহি৷এদিকে জোর খবর মনীশের ছবির নামভূমিকায় দেখা পাওয়া যাবে কৃতি শ্যাননের। কিন্তু পরিস্থিতি একটু জটিল হয়ে ওঠায় ছবির কাজ আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জানা গিয়েছে মীনা কুমারীর বায়োপিক নিয়ে আপত্তি জানিয়ে  তাজদার বলেছেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির কিছু মানুষ বিষয় ভাবার ক্ষমতায়  দেউলিয়া, তাই  কন্টেন্ট চুরি করতে তারা সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন। তাদের কোনও অধিকার নেই অসভ্যের মতো আমার  পরিবারের ব্যক্তিগত এলাকায় ঢুকে পড়ার। মীনা কুমারী আমার মা ছিলেন। আর কমল আমরোহি আমার বাবা। ওই লোকগুলিকে বলুন তো নিজেদের মা-বাবাকে নিয়ে সিনেমা বানাতে, যদিও এরা সেটাও পারবে না। আমার মাকে নিয়ে ওরা যা বানাবে তা মিথ্যের উপর ভর করেই বানাবে। আর সেটার অনুমতি আমি দিতে পারি না৷ আমি এখন আমার আইনজীবীর কথামতোই কাজ করব। আমি আর আমার বোন রুকসার, দুজনেই মামলা দায়ের করব।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...