ভালোবাসার অনুভূতি জীবনকে বদলে দেয়। আর তাই ভালোবাসার আদানপ্রদানের মাধ্যমে জীবনকে করে তোলা যায় উপভোগ্য। কিন্তু এই ভালোবাসা কোন পথ ধরে কখন, কীভাবে অন্তরে প্রবেশ করে অন্তর আলোকিত করবে, তা আমরা কেউ জানি না। আসলে ‘চিরসখা হে’ ছবিটিও এমনই এক ভালোবাসার গল্পে আধারিত।

Actor Ishan Mazumder

ঈশান এক বনেদি বাঙালি পরিবারের তরুণ। ছোটোবেলায় নিজের বাবাকে হারিয়েছে সে। অনিবার্য কারণবশত, ঈশান এখন ওর মা এবং জেঠুর সঙ্গে গিয়ে বসবাস করছে উত্তরবঙ্গে। ওখানে ঈশানের আদিবাড়ি। জেঠু শিবাশিস পেশায় উকিল। ঈশান পেশায় ফ্রিল্যান্স ফোটোগ্রাফার। ভালো ছবি তোলে। শুধু তাই নয়, ভালো ছবিও আঁকে। অন্যদিকে তিলোত্তমার স্বামী মারা গেছেন বছর সাতেক আগে। শুধু তাই নয়, তিলোত্তমার ব্যক্তিজীবনে রয়েছে এক মর্মান্তিক সত্য। সময়ের কাছে প্রায় হার মেনে নেওয়া তিলোত্তমার কুয়াশাচ্ছন্ন জীবনে আচমকাই একদিন মিঠে রোদের মতো উপস্থিত হয় ঈশান। একতরফা ভালোবাসা, মান-অভিমান, এই সবকিছুর শেষে, সব বাধা অতিক্রম করে ঈশান এবং তিলোত্তমার ভালোবাসা সম্পূর্ণতা পাবে কিনা, তা-ই ‘চিরসখা হে’ ছবির ক্লাইম্যাক্স।

Film Chirasakha Hey
Tanusree Chakraborty

কলকাতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রেলার লঞ্চ করার আগে, ‘চিরসখা হে’ ছবির বিষয়ে বিশদে জানানো হল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। ছবিটির পরিচালক অর্ঘ্যদীপ চট্টোপাধ্যায়। পরিচালক নিজেই লিখেছেন এই ছবির কাহিনি। চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন অভীক রায় এবং সুজয়নীল বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিটির চিত্রগ্রাহক শুভদীপ নস্কর। সম্পাদক অনির্বাণ মাইতি। সংগীত পরিচালক সৌম্য-ঋত। বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেছেন ঈশান মজুমদার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, মিঠু চক্রবর্তী, বরুণ চন্দ প্রমুখ। ছবিটির শুটিং হয়েছে উত্তরবঙ্গের মিরিকে। ‘৬৯ ক্রিয়েটিভ এন্টারটেইনমেন্ট’  -এর ব্যানারে, ছবিটি পরিবেশন করতে চলেছে ‘মেজোপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট’।

পরিচালক অর্ঘ্যদীপ এর আগে প্রেমের ছবি তৈরি করেননি, তাই এমন একটি প্রেমের ছবি তৈরি করতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি বলেও জানিয়েছেন। তবে প্লেটোনিক লভ গুরুত্ব পেয়েছে কিনা কাহিনিতে, তা জানা যাবে ছবির শেষে। ছবিটির সাফল্যের বিষয়ে পরিচালক এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ভীষণ আশাবাদী।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...