ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, মাঝেমধ্যে খাবারে বা চা-কফিতে সামান্য চিনি খেলে তত ক্ষতি হয় না যতটা লম্বা সময় ধরে কৃত্রিম সুইটনার ব্যবহার করলে হতে পারে৷ কিন্তু আমরা আজকাল ওজন কমানো এবং সেই সঙ্গে সুস্থ থাকার আপ্রাণ চেষ্টায় চা-কফিতে কৃত্রিম সুইটনার- এর ব্যবহার বাড়িয়ে তুলেছি। খাদ্যতালিকা থেকে চিনি পুরোপুরি বাদ দিয়ে আর্টিফিশিয়াল সুইটনারের দ্বারস্থ হয়ে কি আশা করছেন দারুণ ফল হবে?  মোটেই না। কাজের কাজ না হয়ে বরং আপনার ওজনও বেশ খানিকটা বেড়ে যেতে পারে এতে!

বিশেষতঃ যে সমস্ত ব্যক্তির ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে অথবা যারা অতিমাত্রায় স্বাস্থ্যসচেতন তারা অনেকেই খাদ্যতালিকায় থাকা গ্লুকোজ, সুক্রোজ বা ফুট্রোজ এর জায়গায় কৃত্রিম মিষ্টত্ব বাড়াবার দ্রব্য ব্যবহার করেন, তারা খাবারে তীব্র মিষ্টি স্বাদ নিয়ে আসেন কোনোরকম ক্যালোরিযোগ না করেই। সমীক্ষা করে দেখা গেছে বিগত দুইদশকে low calorie Sweetener গ্রহণ করার ঘটনা প্রায় ২০০% বৃদ্ধি পেয়েছে ছোটোদের মধ্যে এবং বড়োদের মধ্যে এই Sweetener  গ্রহণ করার শতকরা বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৫৪%।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন বাড়া ছাড়াও আর্টিফিশিয়াল সুইটনারের প্রভাবে ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে, টাইপ টু ডায়াবেটিসও হতে পারে এর থেকে। গবেষকরা মনে করছেন, লম্বা সময়ের জন্য আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করে কোনও সুফল পাওয়া যায় না৷ বরং কারও কারও ক্ষেত্রে ওজন বাড়া ও অন্যান্য কার্ডিও মেটাবলিক সমস্যা বৃদ্ধি হতে পারে।

ওবেসিটি ঠেকাতে চিনি বাদ দিয়ে অনেকেই অ্যাসপার্টেম, সুক্রালোজ আর স্টেভিওসাইডের মতো artificial  sweetener  আপন করে নেন। সমস্যা হচ্ছে, চিনির চেয়ে এই কৃত্রিম বস্তুগুলির রাসায়নিক গঠন আলাদা। জিভে উপস্থিত রিসেপ্টরকে এই উপাদানগুলি জাগিয়ে তোলে, ফলে মস্তিষ্কে মিষ্টি খাওয়ার সঙ্কেত পৌঁছোয়। কিন্তু এই পদার্থগুলি শরীরের কোনও ক্ষতি করছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হয়নি এতদিন৷ ব্যবহারকারীরা যে-ধরনের শারীরিক সমস্যা নিয়ে এখন চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হচ্ছেন, তাতে অন্তত এটা পরিষ্কার যে আর বিষয়টাকে হালকাভাবে না নিয়ে গভীরভাবে বিবেচনা করার দেখার সময় এসে গিয়েছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...