চলছে ভ্যাপসা গরমের আবহ। আসলে, আবহাওয়ায় এক অদ্ভুত রকমের পরিবর্তন এসেছে, বলছেন আবহবিদরা। এই অদ্ভুত তাপমাত্রার হেরফেরের সঙ্গে শরীরকে অভ্যস্ত করাটা বেশ বড়োসড়ো একটা চ্যালেঞ্জ। এই সময় শরীরের সঠিক যত্ন নিলে, রোগভোগের থেকেও রেহাই পেতে পারেন। আবার ডিহাইড্রেশন, অ্যালার্জি, ব্রণ, ঘাম কিংবা ময়লা জমে ফাংগাল ইনফেকশন, চুলকানি, ঘামাচি, র্যাশ প্রভৃতি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানা থাকলে, উষ্ণতাও হয়ে উঠতে পারে উপভোগ্য।
গরমের কুপ্রভাব পড়তে দেবেন না
রোদে বেরোলে ঘাম হয়, ত্বক জ্বালা করে। অনেকের ত্বকেই লাল চাকা চাকা র্যাশ বেরিয়ে ত্বক ফুলে ওঠে এবং দাগ হয়ে যায়। সংবেদনশীল ত্বকেই এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতি এড়াতে হলে ত্বককে সরাসরি সূর্যের তাপ থেকে বাঁচানো দরকার। এছাড়া শরীরের যে-অংশ পোশাকে ঢাকা থাকে না, সেই খোলা ত্বকে নিয়মিত সানস্ক্রিন ক্রিম অথবা লোশন লাগান রোদে বেরোবার আগে। সাধারণত মুখ, ঘাড়, গলা এবং হাতে সানব্লক লোশন লাগাবার দরকার পড়ে। সুতির পোশাক গরমের দিনে আদর্শ। গরমে ত্বককে শীতল করতে সন্ধের সময় অ্যালোভেরা জেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
ডি-হাইড্রেশন-এর সমস্যা থেকে বাঁচুন
গরমে ঘাম হয়ে শরীর যেমন ডি-হাইড্রেটেড হয়ে পড়ে, তেমনই ত্বকের ডি-হাইড্রেশনের সমস্যাও হয়ে থাকে। ক্রমাগত ঘাম হতে থাকার কারণে শরীরে জল কমে যায়। জলের অভাব পূরণ করার জন্যে পর্যাপ্ত পানীয় নেওয়া আবশ্যক, নয়তো ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক এবং নিষ্প্রাণ ও অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। ঠোঁট ফেটে যায়। এই সমস্যা রোধ করার জন্য প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর জল খাওয়া উচিত। রসালো ফল, যেমন তরমুজ, ফুটির মতো ফল শরীর এবং ত্বকের জন্য গরমে খুব উপকারী। ত্বককে হাইড্রেট করার জন্য কিছু ডিপ হাইড্রেটিং ট্রিটমেন্ট রয়েছে, যেমন হাইড্রেটিং ইলেক্ট্রোপোরেশন থেরাপি, অক্সিজেন থেরাপি, জুভেডার্ম রিফাইন ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এড়িয়ে চলুন
গ্রীষ্মের আবহাওয়া, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস গ্রোথের জন্য অনুকূল। সর্বত্র ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থাকলেও খালি চোখে তাদের দেখা যায় না। যারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন, ভিড়, কনজেসর্টেড জায়গায় যাতায়াত করেন, তাদের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হওয়ার ভয় বেশি থাকে। বাসে, ট্রামে ওঠার সময় হ্যান্ডেল ধরতে হয়, সিট কিংবা জানলায় হাতের স্পর্শ এড়িয়ে চলা মুশকিল হয়। আর এইসব জায়গায় ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে থাকে। পরে ওই হাত অসাবধানতাবশত নিজেদের মুখে দিয়ে ফেলি। এইভাবে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। সুতরাং হাত পরিষ্কার রাখার জন্য সঙ্গে হ্যান্ডওয়াশ রাখলে ভালো। কয়েক ঘণ্টা পরপর হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললে সংক্রমণের ভয় থাকবে না। হাত ধুতে যদি অসুবিধা থাকে, তাহলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে এবং বারবার মুখে হাত দেওয়ার বদভ্যাস ছাড়তে হবে।