আধুনিক জীবনশৈলীতে সময়ের বড়ো অভাব। শুধু তাই নয়, কম পরিশ্রমে সহজে কীভাবে রান্নাকাজ সারা যাবে, সেই বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেইজন্যই চাই ইলেক্ট্রনিক কিচেন অ্যাপ্লায়ান্সেস। কিন্তু মনে রাখবেন, ইলেক্ট্রনিক অ্যাপ্লায়ান্সেস-এর সঠিক যত্ন না নিলে, তা খারাপ হয়ে যেতে পারে এবং দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। ভালো ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে কিনতে হবে ব্র্যান্ডেড জিনিস। কেনার সময় অবশ্যই সংগ্রহ করবেন ওয়ারেন্টি কার্ড। মিক্সি, আভেন, চিমনি, টোস্টার, কফিমেকার, ফ্রিজ প্রভৃতি রান্নাঘরে ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর ব্যবহার-বিধি ও সঠিক যত্নের বিষয়ে জ্ঞান এবং সচেতনতা না থাকলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
- ইলেক্ট্রনিক অ্যাপ্লায়ান্সেস-এর ব্যবহার করার পর বন্ধ করতে ভুলবেন না
- ফ্রিজ বারবার খুলবেন না, এতে বিদু্যতের খরচ বাড়বে এবং ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্রে জীবাণু আক্রান্ত হতে পারে
- খাবার গরম করার জন্য মাইক্রো আভেন ব্যবহার করুন। এতে সময় বাঁচবে। কারণ, খাবার গরম করতে সময় লাগে মাত্র এক থেকে দেড় মিনিট। কিন্তু মনে রাখবেন, মাইক্রো আভেনে ব্যবহারের উপযোগী পাত্র ছাড়া অন্য কোনও পাত্র ব্যবহার করবেন না। সাধারণ প্লাস্টিকের পাত্র এবং কোনও স্টিল-এর পাত্র ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ভালো মানের কাচের পাত্র এবং ফাইবার-এর পাত্র ব্যবহার করা নিরাপদ। আর পাউরুটি গরম করবেন না এবং ডিমের পোচ তৈরি করবেন না মাইক্রো আভেনে, এতে মাইক্রো আভেন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে
- কোম্পানির দেওয়া গাইডলাইন মেনে পরিষ্কার করুন কিচেন অ্যাপ্লায়ান্সেস। শুকনো সূতির কাপড়, বেকিং পাউডার এবং লেবুর জল দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন কিন্তু অবশ্যই নিয়ম মেনে। আর অ্যাপ্লায়ান্সেস পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই বিচ্ছিন্ন করবেন বিদু্যত্ সংযোগ। মাইক্রো আভেন, টোস্টার প্রভৃতি তাপবাহী অ্যাপ্লায়ান্সেস ঠান্ডা না হলে পরিষ্কার করতে যাবেন না, এতে হাত পুড়ে যেতে পারে
- রান্নাঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে। কারণ, পর্যাপ্ত আলো না থাকলে রান্নার সামগ্রীতে চুল কিংবা অন্যান্য ময়লা পড়তে পারে এবং সবজি কাটার সময় হাত কেটে যেতে পারে। অতএব, রান্নাঘরে অবশ্যই একটা বা দুটো টিউবলাইট লাগাবেন এবং তা যেন ভালো ব্র্যান্ড-এর হয়
রান্না শুরু হলেই এগজস্ট ফ্যান অথবা চিমনি ব্যবহার করবেন অবশ্যই। আর অ্যাপ্লায়ান্সেস ক্লিনিং-এর জন্য ট্রেন্ড সার্ভিস পার্সন-এর সাহায্য নেবেন অবশ্যই।