নিজেকে প্রেজেন্টেবল এবং ট্রেন্ডি লুক দিতে হলে পোশাক-পরিচ্ছদের পাশাপাশি নজর দিতে হবে জুয়েলারির উপরেও। সারা বছর উৎসব, অনুষ্ঠানের পাশাপাশি টুকটাক অফিস পার্টিও আজ নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং ট্র্যাডিশনাল বা ওয়েস্টার্ন, যে পোশাক-ই পরুন না কেন, সঙ্গে চাই মানানসই Jewellery, অ্যাক্সেসরিজও।
হালফিল সময়ে মহিলারা সোনা-হিরের অত্যধিক দাম, নিরাপত্তা আর তাদের কর্মব্যস্ত লাইফস্টাইলের কথা মাথায় রেখেই ভারী গয়নার বদলে হালকা সোনার গয়না এবং কস্টিউম জুয়েলারির দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।
কলেজ-গোয়ার থেকে কর্মরতা মহিলা– নিজেদের জন্য বেছে নিতেই পারেন কানের জন্য ছোট্ট দুটি টপ, হাতে একটি ব্রেসলেট এবং গলার জন্য একটি সরু চেনের সঙ্গে হার্ট শেপের পেনডেন্ট। আর সেটা যদি হয় ছোট্ট ছোট্ট হিরে দিয়ে সাজানো– তাহলে তো কথাই নেই! এই হিরের দ্যুতি-ই আপনার ব্যক্তিত্বে এনে দেবে মেধাবী বিচ্ছুরণ। বিবাহিত মহিলারাও ওই একই ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার ফ্যাশন স্টেটমেন্টে যোগ হবে হালফ্যাশনের ডিজাইন করা নোয়া। যা আপনাকে স্টাইলিশ করার পাশাপাশি পরম্পরা মানতেও সাহায্য করবে।
এছাড়া ডেলি ইউজের জন্য মোহনমালা আর অনামিকার জন্য কাট ডায়মন্ড দিয়ে বানানো একটি সুন্দর আংটি হলেই আপনার সাজ পুরোপুরি কমপ্লিট। এসব Jewellery-র খোঁজে আপনি যেতেই পারেন শহরের নামিদামি জুয়েলার্সগুলিতে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পিসি চন্দ্র জুয়েলার্স, সেনকো গোল্ড, এনকে বসাক, অঞ্জলি জুয়েলার্স, এ সরকার এবং গোল্ড ফ্যাক্টরি-র মতো শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিপণিগুলি।
ফ্যাশন ইন জুয়েলারি সম্পর্কে জানতে গিয়ে কথা বলেছিলাম ‘সাকশি’র প্রতিনিধি প্রশান্ত চেতলাঙ্গিয়া-র সঙ্গে। তাঁর কথায় ‘দু’একজন বাদ দিলে এ যুগের আধুনিকারা– কেউই ভারী গয়না খুব একটা পছন্দ করেন না। সে কথা মাথায় রেখেই এই বিপণির কর্ণধার নিখিল কোঠারিজি, সিলভারের অনবদ্য কালেকশন নিয়ে এসেছেন বাজারে। সিলভার ছাড়াও রয়েছে মেটালের অভিনব সম্ভার, যা আজ বেশ জনপ্রিয়ও বটে।’