স্বাধীনতা এবং স্বতন্ত্রতা উপভোগ করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হল আর্থিক স্বচ্ছলতা। প্রগতিশীল সমাজ গঠন করতে যেমন অর্থের প্রয়োজন, তেমনি সমাজের মহিলাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করাতেও অর্থের একটা বিশাল ভূমিকা রয়েছে। আজ জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে মেয়েরা নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলতে রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করছে। কেউ কেউ একক জীবন কাটানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। তাই শুধু বর্তমানের জন্যই নয়, ভবিষ্যতের আর্থিক পরিস্থিতিকেও স্থিতিশীল করার কথা ভাবতে হবে। দীর্ঘ সময়ের জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা উপভোগ করার মতো সম্পত্তি অর্জন করা কিংবা নিজ সম্পদ তৈরি করা স্বশক্তিকরণের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আর্থিক সম্পদ দ্রুত হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
সাধারণত পুরুষদের থেকে মেয়েদের আয়ু বেশি হয়ে থাকে। ফলে বাস্তবে দীর্ঘকালীন আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন মেয়েদেরই বেশি। হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা এবং বেঁচে থাকার জন্য যা যা করা দরকার, সেই সব প্রয়োজনের জন্য Money সংগ্রহ করতে মেয়েদের বেশি পরিশ্রম করার দরকার পড়ে। বিকাশশীল দেশ হিসেবে ভারতের নাম আজ পয়লা শ্রেণিতে উঠে এলেও, আজও পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের শ্রমের মূল্য অনেকটাই কম। স্বাধীন ভাবে খরচ করার জন্য মেয়েদের কাছে Money তেমন থাকে না। সুতরাং স্বচ্ছলতার সঙ্গে এবং কারও কাছে ঋণী না থেকে জীবন কাটাতে হলে, মেয়েদের আপৎকালীন অবস্থার জন্য কিছু অর্থ জমা রাখতে হয়। ফলে বিনিয়োগ করার জন্য হাতে অর্থের ঘাটতি দেখা দেয়।
ভারতে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে স্নাতক মহিলার সংখ্যা শতকরা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সঙ্গে আয়ও প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক এবং আর্থিক উন্নতির অর্থ হল এই যে, চাকুরিরত মহিলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উন্নতির হাওয়া শুধুমাত্র উচ্চবিত্তস্তরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়নি, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের মধ্যেও এখন সামাজিক এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উন্নতির হার প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ শতাংশ করে বাড়ছে।