জানুয়ারি মাস মানেই শীতের ঠান্ডা হাওয়া আর খানিকটা আলসেমি। এই সময় সবারই একটু ভালোমন্দ খাবার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে ওজনও বাড়তে থাকে। ফিটনেসের দিকে নজর দেওয়া এই সময় তাই একান্তই জরুরি। তাই কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চলুন Fit and Healthy থাকতে, তাহলে আর বডি ওয়েট নিয়ে চিন্তা থাকবে না ।
পরিমিত অ্যালকোহল : পার্টিতে যেতে হয় এইসময় ঠিকই, তাই বলে ওভার ড্রিংকিং করবেন না। মনে রাখবেন অতিরিক্ত অ্যালকোহল কিন্তু স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। একটা ছোট্ট ট্রিক মনে রাখুন। অ্যালকোহল গ্রহণের আগে এবং পরে এক গ্লাস করে জল পান করে নেবেন। এর ফলে অ্যালকোহল, আপনার শরীরের ক্যালোরি বার্নিং প্রসেসে কোনও অন্তরায় সৃষ্টি করবে না। যত বেশি জল খাবেন অ্যালকোহল তত তরলীকরণ হতে থাকবে।
জিমিং চালিয়ে যান : আলসেমি ছেড়ে প্রতিদিন জিম-এ যান। ওয়ার্ক আউট রুটিন-ই একমাত্র ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করবে। ফলে যে-বাড়তি খাবারটা আপনি উৎসব উপলক্ষ্যে খেয়ে ফেলেছেন, সেটার দরুন জমে যাওয়া ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলাও সহজ হবে। শীতকালে ভোরবেলায় উঠে মর্নিংওয়াক করার মতো মনের জোর যদি জোটাতে না পারেন, ঘাবড়াবেন না। বিকেলে এক ঘন্টা ওয়ার্ক আউট আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে। বিকল্পে নাচ বা যোগব্যায়ামও করতে পারেন।
সবুজ শাকসবজি : আপনার খাদ্যতালিকায় স্যালাড রাখতে ভুলবেন না। শুধু ওজন কমাতেই নয়, ওগুলো আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও কাজে লাগবে। পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি, কড়াইশুঁটি, ক্যাপসিকাম, লাউ প্রভৃতি শাকসবজি নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখুন। ভেজিটেবল সুপ খান ডিনারের আগে অ্যাপেটাইজার হিসাবে।
পানীয় গ্রহণে সতর্কতা : হট চকোলেট উইথ হুইপড ক্রিমের প্রলোভন সহজে এড়ানো যায় না এটা ঠিক কিন্তু এটাই আপনার জন্য ক্ষতিকারক। হট চকোলেট, মোচা, ক্যারামেল দেওয়া পানীয়, ওজন বাড়ায় দ্রুত। গাজরের হালুয়ার মতো এগুলো যতই লোভনীয় হোক, চেষ্টা করুন লোভ সংবরণ করতে। গ্রিন টি দিনে দুবার পান করুন, এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে সুফলদায়ক।