পছন্দসই ডেকর হওয়াটা বাড়ির ইন্টিরিয়র করার সবচেয়ে জরুরি বিষয়। দৃষ্টিনন্দন ডেকর হলে সেই বাড়িতে থাকতেও ভালোলাগে। সাজানোর সময় পর্দা বা কুশনও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।আমরা যে-রঙের পর্দা লাগাই সেই রঙের কুশন কভার, বেড কভার ইত্যাদি দিয়ে ঘর সাজাবার চেষ্টা করি, যাতে রং ও স্টাইল-এ একটা মিলমিশ থাকে। পর্দার ঝালর লাগাতে চাইলে দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লাগানো যেতে পারে।

ঘর আকারে ছোটো হলে, বড়ো যাতে লাগে সেইজন্য দেয়ালে ওয়ালপেপার লাগানো যেতে পারে অথবা ওয়ালপেপারে পেন্ট করানো যেতে পারে। ওয়ালপেপার পছন্দ করার প্রথম কারণ হচ্ছে ঘর দেখতে সুন্দর লাগে। তারপর রং করাবার হলে, ভালো রঙের মিস্ত্রী খুঁজে বার করা এবং হাতে সময় থাকাটাও জরুরি। সময় বাঁচাতে চটজলদি ওয়ালপেপার লাগিয়ে ঘরের অন্দরসজ্জা সেরে ফেলতে ক্ষতি কী? বাড়ির সকলের আলাদা আলাদা পছন্দে এবং ওয়ালপেপারের বৈচিত্র্যে প্রত্যেকের ঘর সেজে উঠতে পারে সম্পূর্ণ ডিভারেন্ট লুক নিয়ে। বাড়তি সুবিধা হল দেয়ালে অন্য আর কিছু টাঙাবারও প্রয়োজন পড়ে না।

অনেকের মনেই এই ধারণা রয়েছে যে, নিজের পছন্দমতো বাড়ি সাজাতে গেলেই অর্থব্যয় অনেক বেশি হবে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত হয়তো এই ধারণাটা সত্যি ছিল কিন্তু এখন সময় বদলেছে। কারণ আর কিছুই নয়, এখন বাজারে ভ্যারাইটি এবং বিভিন্ন রকমের মেটিরিয়ালের প্রাচুর্য রয়েছে। কাঠের আসবাব কিনতে গেলে, কাঠের মধ্যেই নানা ভ্যারাইটি পাবেন। তাছাড়াও দামি থেকে শুরু করে কমদামি, সবই পেয়ে যাবেন একই ছাদের তলায়। এরকমই ফ্যাব্রিক, কিচেন অ্যাকসেসরিজ, ডেকরেশনের জিনিস, সবই ফ্ল্যাট অথবা অ্যাপার্টমেন্ট অনুযায়ী এবং বাজেটের মধ্যে পেয়ে যাওয়া কিছুমাত্র মুশকিল নয় এখন। প্রয়োজন শুধুমাত্র সঠিক খোঁজখবর নেওয়ার। সুতরাং অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের প্রয়োজন জানুন এবং উৎসবের দিনগুলিকে আনন্দময় করে তুলুন।

টুকিটাকি রদবদল

কাস্টমাইজড মেকওভারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে হাতের কাছে থাকা বিভিন্ন জিনিসের সামান্য রদবদলেও আপনার ফ্ল্যাটটি উৎসবের রঙে সেজে উঠতে পারে। হাতে একদমই সময় নেই তাই অর্ডার প্লেস করা, জিনিস তৈরি হবার সময় দেওয়া অথবা কিনে আনা কোনওটাই সম্ভব নয়। তাই বলে কি উৎসবের রঙে ফ্ল্যাটটি সাজবে না? দমে যাবার কোনও কারণ নেই। আসবাবপত্রের স্থানগুলো একটু রদবদল করে নিলেই দেখবেন ঘরের চেহারাই পুরো বদলে গেছে। বারান্দায় অবহেলায় পড়ে থাকা ফুলের টবগুলো উঠিয়ে এনে ঘরের কোণায় রাখুন। পারলে নিজেই বাজার থেকে রং কিনে টবগুলো রাঙিয়ে নিন এবং লতানো গাছ বা ফুলের গাছ টবে লাগিয়ে ঘরের চেহারা সম্পূর্ণ বদলে ফেলুন। ঘরের দেয়ালের রং ও পর্দার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কুশনকভার, বেড কভার, বালিশ, পাশবালিশের কভার, বদলে ফেলুন। আজকাল মেঝেতে পাতার জন্যে সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের হালকা, সিন্থেটিক কার্পেট কিনতে পাওয়া যায়। উৎসবের আনন্দে রং ঢালতে বসার ঘরে একটা কার্পেট যদি পেতে দেওয়া যায় তাহলে ঘরের শোভা আরও বাড়বে বইকি। আর সবার বাড়িতেই থাকে ফুলদানি, বিভিন্ন ছোটো- বড়ো শো-পিস। ধুলো-ময়লা ঝেড়ে সেগুলো শুধু জায়গামতো গুছিয়ে নেওয়ার দরকার। দেয়ালে পুরোনো ওয়ালহ্যাঙ্গিংটা ঘরের এই নতুন মেকওভারের সঙ্গে বড্ড বেমানান ঠেকছে। চিন্তা কি? বাড়িতে পুরোনো ছিঁড়ে যাওয়া বেনারসি অথবা সিল্ক শাড়ি থাকলে তাই দিয়ে ওয়ালহ্যাঙ্গিং- এর চারপাশটা বাঁধিয়ে নিলেই দেখবেন আপনার ফ্ল্যাটের লুক-টাই একদম পুরো বদলে গেছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...