বাড়ির বাইরের দেয়ালে রং করতে চাইলে মাথায় রাখুন আবহাওয়া। বাইরের দেয়ালে রং করার জন্য গ্রীষ্মকাল সবচেয়ে উপযোগী। ভেতরের দেওয়ালে বছরের যে কোন সময় রঙ করাতে পারেন।
বাড়ির ভিতরের রং
ডিসটেম্পারঃ ইট, কংক্রিট ও প্লাস্টারের ওপর ডিসটেম্পার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ডিসটেম্পার, যেমন- অ্যাক্রেলিক, সিনথেটিক, ড্রাই ইত্যাদি। অ্যাক্রেলিক ডিসটেম্পার পানি দিয়ে ধোঁয়া যায়। কিন্তু সিনথেটিক ও ড্রাই ডিসটেম্পার পানি দিয়ে ধোঁয়া যায় না।
প্লাস্টিক পেইন্টঃ প্লাস্টিক ইমালশন নামেই বেশি পরিচিত। পানি ভিত্তিক রঙ, যা দীর্ঘস্থায়ী ও ধোঁয়া যায়। প্লাস্টিক পেইন্ট তিন ধরণের- রেগুলার, ইকোনমিক ও প্রিমিয়াম ইমালশন।
মনে রাখবেন, শুধু সৌন্দর্যর কথা ভেবে ঘরে রঙের ব্যবহার করলে চলবে না। জানতে হবে, ঘরে-বাইরে কোথায় কোন রং ব্যবহার করলে, সৌন্দর্যর পাশাপাশি ঠিকঠাক আলো ছড়াবে এবং চোখকে আরাম দেবে। যেমন, যে-ঘরে বাইরের পর্যাপ্ত আলো এসে পড়ে, সেই ঘরে সামান্য ডিপ কালার ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু যে-ঘরে আলো কম ঢোকে, সেই ঘরে অবশ্যই হালকা রং ব্যবহার করা উচিত। সেইসঙ্গে, ঘরের উপরিভাগ, অর্থাৎ সিলিংয়ে সবসময়ই সাদা রং ব্যবহার করা দরকার। এতে বেশি আলো ছড়াবে এবং সৌন্দর্যও বাড়বে।
আর রান্নাঘরের দেয়ালে যেহেতু তেলকালি জমে, তাই রান্নাঘরের দেয়ালগুলিতে ডিপ কালার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, রান্নাঘরে এক্সজস্ট ফ্যান বা চিমনির ব্যবহার অপরিহার্য। এ প্রসঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জল বা লিকুইড সোপ দিয়ে মাঝেমধ্যে যাতে দেয়াল পরিষ্কার করা যায়, তার জন্য অবশ্যই ওয়াশেবল কালার ব্যবহার করবেন। এখন বাজারে কয়েকটি ব্র্যান্ডের প্লাস্টিক পেন্ট পাওয়া যায়, যা ম্যাট ফিনিশ এবং ওয়াশেবল।
রঙের ব্যবহার প্রসঙ্গে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, দেয়ালের রঙের তুলনায় দরজা-জানলার রং অবশ্যই আলাদা এবং গাঢ় হওয়া উচিত। এতে যেমন সৌন্দর্য বাড়ে, ঠিক তেমনই দেয়াল ভেবে দরজায় ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। তাই অল্প আলোতেও যাতে দরজা-জানলা সহজে আইডেন্টিফাই করা যায়, তেমন রং-ই ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া, দরজায় উডেন কালার কিংবা ব্রাউন কালার করলে, দেয়ালের রং যাই থাক, তা অবশ্যই নজর কাড়বে। আর জানলার গ্রিলে কালো রং ব্যবহার করলে, তা মানানসই হবে এবং নজর কাড়বে। তবে, দরজা-জানলা পরিষ্কার করার সুবিধার জন্য অবশ্যই অয়েল পেইন্ট ব্যবহার করা উচিত।