আমার বয়স ৩০ বছর। আমি এখন প্রথম সন্তানের মা হতে চলেছি। আমার বিবাহিত জীবন চার বছরের। আমার বাবা-মা, ননদ এবং আমার হ্যাজব্যান্ড এখন পথ চেয়ে রয়েছেন আমার সন্তানের জন্মলাভের জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই যে, দিনকয়েক আগে আমি রুটিন স্ক্যান করানোর পর চিকিৎসকের থেকে জানতে পারি যে, আমার গর্ভস্থ সন্তান ‘ডাউন সিনড্রোম’ সমস্যায় রয়েছে। তাই ডক্টর আমাকে অ্যাবর্শন করার পরামর্শ দেন। এই দুঃসংবাদ আমার স্বামী এবং পরিবারের কেউ জানেন না। ওরা শুনে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করবেন তাই আমি তাদের জানাতেও পারছি না। এখন আমি একা এই বেদনাময় পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছি। সত্যিই কি আমার সন্তানকে বাঁচিয়ে সুস্থ ভাবে আমি তার জন্ম দিতে পারব না? নাকি আমাকে গর্ভপাত করতেই হবে? নাকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানের জন্ম দিতে হবে আমাকে? এমন হাজারো প্রশ্নে আমি এখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কী করা উচিত আমার?

আপনার ডক্টর যদি আপনাকে অ্যাবর্ট করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি নিশ্চিত হয়েই তা দিয়েছেন এবং আপনার ভালো চেয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর যদি বিষয়টি নিয়ে একটুও সন্দেহ থাকত তাঁর মনে, তাহলে ডক্টর আপনাকে অন্য কোথাও আবার স্ক্যান করার পরামর্শ দিতেন। অবশ্য এরপরও যদি আপনার ইচ্ছে হয় তাহলে অন্য কোনও ভালো ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে দেখুন, তবে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কারণ, সত্যিই যদি অ্যাবর্ট করাতেই হয়, তাহলে তাড়াতাড়ি করলে ঝুঁকি কম। আর এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ‘ডাউন সিনড্রোম’ হল ক্রোমোজমাল ডিসঅর্ডার। এক্ষেত্রে গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি ব্যহত হয়। তাছাড়া আরও নানা সমস্য তৈরি হয়, যা মা এবং সন্তানের পক্ষে ভালো নয়। অতএব, ডক্টর-এর পরামর্শ মেনে নিয়ে, গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। আর এই অপ্রিয় সত্য, স্বামী কিংবা পরিবারের সদস্যদের কাছে লুকিয়ে লাভ নেই। বরং তাদের কাছে সব সমস্যার কথা জানালে, তারা আপনার পাশে দাঁড়াবেন এবং সত্যিটা মেনে নিতে সাহায্য করবেন। শুধু তাই নয়, তাদের সহযোগিতা এবং সহানুভূতি নিয়ে আবার নতুন করে মা হওয়ার স্বপ্ন দেখুন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...