আমার বয়স ৩৭ বছর, আমি আউটডোর কাজ করি। দূরের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়। রোদে বেরোলেই অসম্ভব মাথা ব্যথা করে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চশমাও সবসময় পরি। তাও এই অসুবিধাগুলো হচ্ছে। আমার বয়স হয়েছে মানছি কিন্তু এছাড়াও আমার ছেলের এখন বয়স মাত্র ৭ বছর। ২০২০-তে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে ওকে স্কুলের পড়াশোনা চালাতে হচ্ছিল যখন ওর বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর। এখন ২০২২, কিছুদিন আগেই ওদের অফলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু এই ২ বছরের মধ্যেই ওর চোখের ব্যথা এবং জ্বালা শুরু হয়েছে। ওর বয়স এখন খুবই অল্প সুতরাং এই বয়সেই যদি আমার মতো ওর-ও চোখের সমস্যা শুরু হয়ে যায় তাহলে পুরো জীবনটা ওর সামনে পড়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের উভয়ের কী করা উচিত?
আপনার চোখের সমস্যা না থাকলেও, নিয়মিত Eye Testing করানো দরকার। ভিশন স্ক্রিনিং টেস্ট-এর দ্বারা দৃষ্টি পরীক্ষা করা হয়। এতে পরিষ্কার বোঝা যায় ব্যক্তির কাছের বা দূরের দৃষ্টির দুর্বলতা কতটা। চোখের পরীক্ষায় অপটিক নার্ভ, চোখের মণিতে ক্যাটারাক্ট বা গ্লকুমা হচ্ছে কিনা পরিষ্কার ধরা পড়ে।
আপনার উচিত সানগ্লাসেজ কোটিং-যুক্ত পোলোরয়েড চশমার ব্যবহার করা। যাদের রোদে ঘুরে আউটডোরের কাজ করতে হয় তাদের জন্য এই চশমা খুবই ভালো বিকল্প। রোদের তীব্র আলো চোখের পক্ষে কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। সুতরাং পোলোরয়েড চশমা ব্যবহারে খুবই সুফল পাওয়া যায়। পোলোরয়েড লেনস-এ একটি বিশেষ ধরনের ফিলটার থাকে, যা সূর্যের কনভার্টেড রে-কে অবরুদ্ধ করে আলোর চমককে অনেকটা স্তিমিত করে।
আপনার মেয়ের ক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যে, ডব্লুএইচও (হু)-এর নির্দেশানুসারে ৭-৮ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের স্ক্রিনের সামনে বসা উচিত নয়। কিন্তু এখন বাচ্চাদের সমানে স্ক্রিনের সামনে বসে থাকতে হচ্ছে। এর ফলে ওদের চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যের উপরেও এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। এর প্রভাব কম করার জন্য খেলার ছলে বাচ্চাকে চোখের এক্সারসাইজ করাতে হবে। বাচ্চাদের চোখের পাতা বারবার ওঠানামা করানোটা চোখের খুব ভালো এক্সারসাইজ। খেলার ছলে এটাই আপনি বাচ্চাদের দিয়ে করাতে পারেন। খুবই সহজ এই প্রক্রিয়াটি। এর ফলে চোখের ফ্রেশ ভাব বজায় থাকে এবং অবসাদও দূর হয়।