শেষ পর্যন্ত আমাদের ডিভোর্সটা হয়েই গেল৷ চল্লিশ বছরে পা দিয়ে জীবনটা কেমন যেন অন্যরকম হয়ে গেল৷ আমি ও আমার প্রাক্তন স্বামী একে অপরকে ভালোবাসতাম না। সুখী ও সুস্থ দাম্পত্য জীবনে আমার বাবা-মা আমার আদর্শ। তাই, অসুখী জীবন আমার পছন্দের বাইরে। আমার স্বামীর এমন কিছু দিক ছিল যা আমি একেবারে ঘৃণা করতাম। তাই তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ করা ছাড়া শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় ছিল না৷
আমার প্রাক্তন স্বামী প্রতিদিন আমাকে নির্যাতন করতেন। মানসিকভাবে পীড়ন করতেন ও নানা রকমের কটূক্তি করতেন। সব চেয়ে বড়ো সমস্যা হল হল,আমি যখন তাঁর সঙ্গে ছিলাম তখন আমার কখনোই ওকে সুস্থ মনে হয়নি৷ তাই মানসিক ভাবে নিরাপদ বোধ করিনি। তাই যেদিন আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়, আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই।
বিয়ের বন্ধন থেকে পালাতে পেরে খুশি হয়েছি।কিন্তু একাকিত্ব ভুলতে আমি মদ্যপান শুরু করেছি৷ এই মানসিক অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না৷ আমাকে সাহায্য করুন৷
বিচ্ছেদ যে কোনও বয়সেই আসতে পারে৷ আমাদের কাছে যে কোনও বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক। আমাদের সমাজ ডিভোর্সকে খুব মুক্ত মনে মেনে নেয় না৷ তাই অনেকেই চেষ্টা করেন, সব কিছু সহ্য করে বয়ে নিয়ে চলতে। কিন্তু সম্পর্কে যখন চলে আসে চূড়ান্ত তিক্ততা, তখন বাধ্য হয়েই বেছে নিতে হয় ডিভোর্সের পথ। ডিভোর্সি হয়ে থাকা মানেই একাকীত্বের শিকার বলেন অনেকে, তবে একটি বিপদজনক বিয়ের চেয়ে মুক্তি অনেক ভালো।আপনার ক্ষেত্রে বিষয়টা তা-ই৷
কিন্তু আপনি একাকিত্ব ভুলতে যত মদ্যপান করবেন, ততই এটি আপনার ক্ষতি করবে।ধীরে ধীরে, এটি আপনাকে যথেষ্ট অসুস্থ করে তুলবে৷ পৃথিবীর সবকিছুই আপনার কাছে অসহ্য মনে হবে। তাই একাকীত্ব পর্বটি কাটিয়ে উঠতেই হবে। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে অনুভূতিগুলি অত্যন্ত করুণ হলেও আপনি অবশ্যই একাকীত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখবেন। বিবাহবিচ্ছেদের পরে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়া কিন্তু অসম্ভব নয়।