আমার বয়স ৩২ এবং একটি কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরতা। বছর চারেক হল ৩০ বছরের একটি ছেলের সঙ্গে লিভ ইন করি। সে আমার অফিসেই আমার অধীনে কাজ করে। সম্পর্কের শুরুতে এনিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল না। আমরা পরস্পরকে প্রচণ্ড ভালোবাসি এবং যৌনতার ব্যাপারেও বেশ সন্তুষ্ট ছিলাম। যদিও শুরু থেকে লক্ষ্য করেছি ওর একটু রাফ সেক্স পছন্দ। সম্ভোগের সময় শারীরিক পীড়ন করতে ও পছন্দ করে। শুরুতে এই নতুন অভিজ্ঞতা আমিও উপভোগ করতে শুরু করেছিলাম। আমার সমস্ত শরীরে ওর পীড়নের চিহ্ন লেগে থাকত Lovemaking-এর পর।
সম্প্রতি আমার এই বয়ফ্রেন্ডের একটি প্রমোশন হয়েছে এবং তাকে অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি। বিষয়টিতে আমি হস্তক্ষেপ না করায় সে আরও ভায়োলেন্টলি আমার সঙ্গে সম্ভোগ করা শুরু করেছে। আমি তার থেকে মুক্তি চাই না, কিন্তু কীভাবে তার এই শারীরিক পীড়ন কমাব সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না।
একই অফিসে কা়জ করতে করতে সম্পর্ক গড়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়৷ আর প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে আপনারা লিভ ইন করার সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন৷ কিন্তু মানুষকে তার প্রবৃত্তিগুলি সতর্ক করে। সম্পর্কের গোড়ার দিকে হয়তো দুজনের দোষত্রুটি, চারিত্রিক বিকারগুলি ধরা পড়ে না৷ কিন্তু ক্রমে ক্রমে তা প্রকাশ পায়৷ আপনার ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছে৷ আপনি নিজেই এখন অনুভব করতে শুরু করেছেন যে, আপনার পার্টনারের ব্যবহার ঠিক স্বাভাবিক নয়।Sexual Perversion নতুন কোনও ঘটনা নয়৷ অনেকে আবার এগুলিকে পারভার্শন মনেও করেন না৷ কিন্তু মুশকিল হল দুজন সঙ্গীর পরস্পরের মধ্যে যতই বোঝাপড়া থাকুক, পরস্পরের সমস্ত কিছু, মানে ভালোলাগা বা খারাপ লাগার বিষয়গুলি এক হতে পারে না৷
শুরুতে হয়তো সঙ্গীর পাশবিকতাকে আপনার অস্বাভাবিক লাগেনি৷ অতিরিক্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ মনে হয়েছিল৷ আপনি তাকে বাধা দেননি৷ এখন আপনাকে বুঝতে হবে যে, সে আপনার প্রতি প্রতিশোধস্পৃহায় তার আচরণ এমন পাশবিক করে তুলেছে, নাকি তার সেক্সুয়াল পারভার্শনকে আপনি প্রশ্রয় দিয়ে এই অস্বাভাবিক জায়গায় নিয়ে এসেছেন। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় একটা ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স থেকে মানুষ স্যাডিস্ট হয়ে ওঠে। ওর আচরণে যেটা স্পষ্ট। বস্তুত ওর কাউন্সেলিং প্রয়োজন। সেক্স এক্সপার্ট-এর পরামর্শ নিন। তাতেও যদি ফল না পান, সম্পর্কটা থেকে সরে দাঁড়ান।