আমাদের সমাজে নারী-পুরুষের মিলন ও যৌনতা বিষয়টি একটি স্পর্শকাতর সুতোর উপর দাঁড়িয়ে৷ মেয়েরা আজ তাদের উপর ঘটে যাওয়া অপরাধের বিষয়ে কিছুটা হলেও প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে৷ নারীর ইচ্ছায় যৌনমিলন ঘটবে কিনা,বা একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে সে কতটা ঘনিষ্ঠ হবে-- সেটা ঠিক করার অধিকারও নারীর৷ যদি সেখানে তার ইচ্ছে-অনিচ্ছের মর্যাদা না দেওয়া হয়, আইনের চোখে তা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে৷কিন্তু পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যদি উলটোটা ঘটে?

একটু স্মৃতির উপর জোর দিন৷ মনে পড়বে খবরের শিরোনামে উঠে আসা একটি ঘটনা৷এরকম একটি ঘটনায়, টিভি অ্যাংকর বরুণ হিরামথের জামিন বাতিল না করে, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার অভিযোগকে ব্ল্যাকমেইল অ্যাখা দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।

এই মামলার অভিযোগকারিণী মেনে নিয়েছিল যে, সে এবং অভিযুক্ত একই ঘরে ছিল তার সম্মতিতে। সে এও স্বীকার করে নিয়েছিল যে, সে বিবস্ত্র হয়েছিল। কিন্তু তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করে অভিযুক্ত এবং তা ধর্ষণের রূপ নিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট-এর বক্তব্য ছিল যে, যদি নারী-পুরুষ উভয়ে সম্মতিতে একই ঘরে দরজা বন্ধ করে থাকে এবং নারী স্বেচ্ছায় বিবস্ত্র হয় এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাহলে তা ধর্ষণের মামলা হিসেবে বিবেচিত হয় না।

দিল্লির এক হোটেলে ঘটে যাওয়া এই ধর্ষণ-এর মামলায় অভিযোগকারিণীর বক্তব্য ছিল, সে স্বেচ্ছায় বিবস্ত্র হলেও, যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে চায়নি। তাই তার মতে, এটা ধর্ষণ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট অভিযোগকারিণীর সঙ্গে সহমত ছিল না এবং বরুণ হিরামথের জামিন মঞ্জুর করে।

বেশিরভাগ পুরুষই ভেবে নেন যে, কোনও কাজ করাতে কিংবা সাহায্যের জন্য তার কাছে যে-নারীই আসবেন, তাকে ওই পুরুষ শারীরিক ভাবে ভোগের অধিকার পেয়ে যাবেন! কিন্তু বাস্তব হল এই যে, মহিলারা তার সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন, যাকে তিনি চাইবেন। এক্ষেত্রে তার ভালোলাগার পুরুষমানুষটি স্বামী না-ও হতে পারেন। তাই, শারীরিক সম্পর্কে অনিচ্ছুক নারীর সঙ্গে জোর করে কেউ যৌনচাহিদা মেটালে, আইনমাফিক তা ধর্ষণ বিবেচিত হওয়া উচিত।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...