যে-কোনও নির্বাচনেই রাজ্যের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তারা কোন সরকার চান? ধর্মীয় ভেদাভেদ, মন্দির নির্মাণ, চারধাম যাত্রাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন, নাকি পেট্রোল ডিজেল আর রান্নার গ্যাস-এর মূল্যবৃদ্ধি অথবা নিত্যপণ্যের আগুন দাম প্রভৃতি জরুরি বিষয়কে। এখন থেকেই ২০২৪-এর নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক মহলেই৷ তবে ক্ষমতায় যে-সরকারই আসুক না কেন-- জনসাধারণের এটা বোঝা দরকার যে, রাতারাতি কোনও মিরাকল ঘটবে না, যাতে হিন্দুরাষ্ট্র তৈরি হবে কিংবা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। নির্বাচন একটা প্রক্রিয়া যার ফলে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে। কিছু ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন ভাবনাচিন্তা হয়, আবার কেউ কেউ নতুন ভুল পদক্ষেপ করে৷ তবে যথাযথ সরকারের প্রতিষ্ঠা যে-কোনও রাষ্ট্রের উন্নতির ক্ষেত্রে একটা বড়ো সম্পদ। কিন্তু আফশোসের বিষয়টি হচ্ছে গত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল আশাপ্রদ নয়।

এর জন্য কাকে দোষ দেবেন? উত্তর দেওয়া কঠিন। একথা ঠিক লোকতন্ত্রের ভাবনা যেন এ দেশ থেকে অপস্রীয়মান। মানুষের সাধারণ বিচারবুদ্ধি যেন ক্রমশই লোপ পাচ্ছে। আজকের ভোটাররাও কেমন বিবেচনাহীন হতবুদ্ধি ধরনের হয়ে গেছেন। এরা অনেকটাই যেন সেই নাবালিকা মেয়েটির মতো, যার অজ্ঞানতা এবং জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকার সুযোগ নিয়ে অচেনা একটি পরিবারের অচেনা পাত্রের হাতে যাকে তুলে দেওয়া হয়, এক অলীক স্বপ্ন দেখিয়ে! এ যেন ভাগ্যের হাতে নিজেকে ছেড়ে দেওয়া। ভাগ্য ভালো হলে সুপাত্রের পত্নি আর না হলে সারা জীবনের জন্য ভুক্তভোগী। ভোট দিয়ে আমরা যাদের ক্ষমতায় আনি, এও যেন একইরকম ভাগ্যের খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে।Choosing the right candidate বিষয়টিতে গুরুত্ব দিন৷Politics এবং Elections in India আজকের সচেতন নাগরিকদের ক্ষেত্রে বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ৷

গত নির্বাচনগুলির দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, নির্বাচনের ফল ভুগতে হয়েছে সবচেয়ে বেশি করে মহিলাদের। এই পরিণামের কারণ হল মহিলারা নিজেরাই৷ তারা চিরকাল নিজেদের দাবিদাওয়া, অসন্তোষকে গোপন রেখেছেন। নিজেদের অধিকারের জন্য লড়েননি। তারা নিজেদের বিচারবুদ্ধি বিবেচনার উপর আস্থা রেখে সরকার নির্বাচন করেন না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...