ভারতে আজও হিন্দু মৌলবাদীরা প্রচার করে চলেছেন যে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনলে তবেই মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি বন্ধ হবে। অন্যদিকে, বিশ্বের সক্ষম দেশগুলি জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে সমস্যায় রয়েছে।ভাবছেন Pollution control - ও একটা সমস্যা ? আজ্ঞে হ্যাঁ৷
জাপানে ২০২০ সালে ৮,৪০,৮৩২ জন শিশু জন্ম নিয়েছিল কিন্তু ২০১৯ সালে নবজাতকের সংখ্যা ছিল ৮,৬৫,২৫৯ জন। ১৮৯৯ সালের পর যখন থেকে জনগণনা শুরু হয়েছিল জাপানে, সেই হিসাবে গতবছর নবজাতকের সংখ্যা সবচেয়ে কম ছিল।
জাপানে বিয়ের সংখ্যাও ক্রমশ কমছে। ২০১৯ সালে বিয়ে করেছিলেন মোট ৫,৯৯,০০৭ জোড়া নারী-পুরুষ। আর ২০২০ সালে বিয়ে সংখ্যা ছিল ৫,২৫,৪৯০। তাই তাদের আশঙ্কা, বিয়ে এবং সন্তান জন্মের হার ২০২১ সালে কমবে আরও ১০ শতাংশ। পূর্ববর্তী সরকার আশা-প্রকাশ করেছিল যে, প্রতি বছর ৭০,০০০ সংখ্যক শিশু বেশি জন্মাবে কিন্তু বাস্তবে ঘটছে উলটো ঘটনা।Population control হওয়ার এ এক বড়ো কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদ কিছুটা কমলেও, বিগত দশ বছরে ১,৯৩,২৫১টি বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে জাপানে।
যতই ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলুক, যতই মেটারনিটি কিংবা পেটারনিটি লিভস-এর সুবিধা থাকুক না কেন, এটাই সত্যি যে, অতিরিক্ত সন্তান মানেই ঝক্কি-ঝামেলার শিকার হতে হয় মা-কে৷ হয়তো এই কারণেই তারা বাড়তি বোঝা আর নিতে চাইছেন না।Birth control করতে চাইছেন৷
শুধু ভারতবর্ষেই নয়, পশ্চিমি দেশগুলিতেও ধর্মান্ধরা নিজেদের স্বার্থে নিজের সম্প্রদায়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করাতে চান এবং বাচ্চাদের মগজে ছোটো থেকেই ধর্মের ভেদাভেদ ঢুকিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করতে চান। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, যারা শিশুর জন্ম দিচ্ছেন, অর্থাৎ মায়েরা কিন্তু কোনও সুযোগ সুবিধে পাচ্ছেন না।
শিক্ষিত মহিলারা তাই অনেকে পুরুষদের মতো ঝামেলাহীন জীবনযাপন করতে চাইছেন। অনেকে একটার বেশি সন্তান চাইছেন না, আবার অনেকে সারোগেট মাদার-কে মাধ্যম করছেন। আসলে মা হতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে যাতে অসুবিধেয় না পড়তে হয় কিংবা কেরিয়ারের যাতে ক্ষতি না হয়, সেই পথ খুঁজে নিচ্ছেন অনেক মহিলা।