বিগত দু’ বছর করোনা-অতিমারির গ্রাসে বর্ষবরণের আনন্দ আমরা প্রায় উপভোগ করতে পারিনিই বলা যায়। তবে, এখন মানুষ মানসিক ভাবে আর ততটা বিপর্যস্ত নয়। তাই এবার বৈশাখ বরণ উৎসব দ্বিগুন উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হবে, এমনটা আশাপ্রকাশ করাই যায়। আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা, তারপর ১৪২৮-কে বিদায় জানিয়ে আমরা বরণ করে নেব ১৪২৯-কে। কিন্তু এই উৎসব পালনের আগে, জেনে নিন এর বহমানতা এবং রীতি-নীতির পরিবর্তনের বিষয়ে।

বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস হল বৈশাখ। আর বাংলা মাস বৈশাখের ১ তারিখ অর্থাৎ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটিকেই বলা হয় বাংলা নববর্ষ। বাংলা এবং বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। তবে শুধু ভারতের পশ্চিমবঙ্গেই নয়, ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশেও বিশেষ উৎসব হিসাবে পালিত হয় নববর্ষ। প্রবাসী বাঙালিরাও অংশ নিয়ে থাকেন বৈশাখ বরণের উৎসবে। সেই হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন পয়লা বৈশাখকে বলা হতো 'পহেলা বৈশাখ'।

এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিরিখে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটা ছিল না। তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হতো। এর মূল তাৎপর্য তখন ছিল কৃষিকাজ। কারণ প্রযুক্তির প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হতো।

আবার মোঘল সম্রাট আকবর রাজস্ব বা কর আদায়ে উদ্দেশ্যে নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ চৈত্র-র শেষ দিনটিকে রাজস্ব জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। আর কৃষকরা তাই চৈত্রে রাজস্ব জমা দেওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে পরের দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ উৎসব পালন করত বলে জানা গেছে।

অনেকের মতে, বাংলা সন গণনা শুরু হয় আকবরের রাজত্বকাল থেকে। প্রথমে অবশ্য বলা হতো ফসলি-সন। পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।

আবার এই আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বা পয়লা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হতো। একসময় এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...