দিন গুনছিলাম উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর। নিশ্চিত ছিলাম ভালো নম্বর নিয়ে পাস করব। ভালো কলেজে ভর্তির জন্য মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।মাঝেমাঝে গ্রামের বাড়ি থেকে ঠাকুমা আমাদের এখানে এয়ে থাকতেন৷ তখন আমার বাড়িতে সকলেই ঠাকুমার কথামতোই চলত। অন্য কারও ইচ্ছা-অনিচ্ছার পরোয়া খুব বেশি করা হতো না।

আমার কলেজ যাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই ঠাকুমা একদিন বাবাকে ডেকে বললেন,

-আর কত পড়াবি মেয়েকে? এর পর ভালো পাত্র পাওয়াই তো মুশকিল হয়ে যাবে। আর যদি পাওয়াও যায় মোটা পণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পারবি তো দিতে, ভেবে দেখিস।

-মা, তোমার নাতনি যখন পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে তখন পণ দেওয়ার কোনও দরকারই পড়বে না।

-মেয়েরা যতই পড়াশোনা করুক খোকা, আমাদের সমাজে পণ ছাড়া বিয়ে কখনও শুনিনি।

-তুমি চিন্তা কোরো না মা। তোমার নাতনি আরও পড়াশোনা করতে চায়। ওকে তুমি আশীর্বাদ করো ও যেন অনেক বড়ো হতে পারে। আর যদি স্কলারশিপ পেয়ে যায় তাহলে ওর পড়াশোনার পেছনেও আমাদের খরচ করতে হবে না।

-ঠিক আছে, তোদের যদি মনে হয় মুনমুনের বেশি পড়াশোনা করা উচিত, তাহলে পড়া। কিন্তু একটা কথা তোদের শুনতেই হবে, কলেজে ওকে শাড়ি পরে যেতে হবে। স্কুলের মতো স্কার্ট-ব্লাউজ বা

সালোয়ার-কামিজ পরে ওকে আমি কলেজ যেতে দেব না।

-ঠিক আছে ঠাম্মা, জিন্স, স্কার্ট এগুলো না হয় পরব না কিন্তু সালোয়ার কামিজ পরলে কী দোষ? ওটাতেও তো পুরো শরীর ঢাকা থাকে, মুনমুন ঠাম্মাকে বোঝাবার চেষ্টা করে।

-না, কলেজ যেতে হলে শাড়ি পরেই যেতে হবে।

আমার রেজাল্ট বেরোল। ভালো নম্বর থাকলেও একটুর জন্য স্কলারশিপটা মিস করলাম। ভালো কলেজেও ভর্তি হয়ে গেলাম ৷ তার কয়েকদিন পর ঠাকুমা গ্রামে ফিরে গেল৷ আমিও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরে হাঁফ ছাড়লাম৷

কলেজে পুরোদস্তুর ক্লাস শুরু হওয়ার পরেও আমার ইতিহাসের একটা বই দোকানে কিছুতেই পাওয়া গেল না। তার ফলে আমাকে এবং আমার সহপাঠীদেরও লাইব্রেরির ভরসায় থাকতে হচ্ছিল। বইয়ের জন্য লাইব্রেরিতে যখনই যেতাম, কেউ না কেউ বইটা নিয়ে পড়ছে দেখতাম কারণ আমাদের লাইব্রেরির বই বাড়িতে ইস্যু করা হতো না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...