এক

বট গাছটার শিকড়ের কিছু অংশ নদীর গর্ভে, বাদবাকি মাটিকে ধরে রেখেছে। নদীর জল আছড়ে পড়ে আঘাত করছে সেই মাটিকে প্রতিটি জলের তোড় দিয়ে। মাটির বুকের প্রাণকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। বট গাছটার পিছনে ফাঁকা মাঠটার ওপর কালীথান। দরজাবিহীন টিনের দোচালা মন্দির, তার মাঝখানে বিরাট শ্যামাকালী। আবছা অন্ধকারে তাকে দেখলে, গায়ের রক্তের তাপ কিছুটা কমে যায়। মন্দিরের ফাঁকা মাঠটা পেরিয়ে বিরাট বাঁশঝাড়, তারপর জেলেদের গ্রাম ছাতিয়াতে ঢোকবার মাটির রাস্তা। গ্রামের গা ঘেঁষে টাঙ্গন একটু বৃত্তাকারে ঘুরে এই মহানন্দাতে এসে মিশেছে। মোহনার কাছেই আইহো হাট, ঝকমকে কাচের চুড়ি, শয়ে শয়ে ধান পাটের গরুর গাড়ি ভর্তি হয়ে থাকে।

মহানন্দার ওপারে বাংলাদেশের রাজশাহি জেলা। আর ছাতিয়া, কালীথান, টাঙ্গন, মহানন্দার এপার-সব মালদহ। ওপারের বাস্তুভিটা হারানো মানুষ এপারে। আর এপারের প্রায় তীরের কাছাকাছি মহানন্দার বুকে বিএসএফ-এর প্রাচীর।

ছাতিয়া গ্রামে অন্ধকার ভোর রাত থেকেই ব্যস্ততা। সার সার মাছ ট্রাকে করে আইহো গ্রামের হাটের বুক চিরে, চওড়া পাকা পিচের রাস্তা দিয়ে টাঙ্গনের উপর পাকা সেতুকে ছুঁয়ে, চলে যায় মালদা টাউনে।

কালীথানকে একটু পিছনে ফেলে, মাধো, ভাইয়ের হাত ধরে টাঙ্গনের পাশে দাঁড়ায়, চিৎকার করে ডাকে, ‘ওবাপ স্যারা রেত তো, বাঁশের খড়া গেড়ে শরীর কালি করলা, তা ওনারা জ্যালে পড়ল?’

মাধোর বাবার মুখ হাসিতে ভরে ওঠে ‘ওরে মাখাকি। সারা রেত লৌকার মধ্যি জেগি কি আমি এ্যাকাশের তারা দ্যাখলাম, নাওয়ে আয়ঃ দ্যাখ।’

মাধো তর তর করে নেমে আসে নৌকার কাছে। নাওয়ে ভর্তি মাছ দেখে, আনন্দে তার চোখ জ্বলজ্বল করতে থাকে। আনন্দের উচ্ছ্বাসে বলে ওঠে, ‘আমি লয় মাখাকি, বলি তোর ম্যাথার কুনো বুদ্ধি লেই। তা তুই তো, দশ বুছরেই বাপখেয়ি বুদ্ধিটার শোকনো মোরভূমি কইরি ফেলছিস। ম্যাথায় কি তোর কিছু লেই? আগি না গেলে মহাজনের লুড়ি তো সব লিয়ে যাবে।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...