ভোলা, এক কাপ চা দিয়ে যা বাবা’। কথাগুলো বলেই প্রশান্ত আরামকেদারায় দেহ এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়। মিনিট দশেক আগেই অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

সামনেই মেয়ের বিয়ে। একা একটা মানুষের পক্ষে সবদিক সামলানো প্রায় যুদ্ধেরই সমান। খুঁটিনাটি সব বিষয়েই বাড়তি খেয়াল রাখতে হয়। অন্যথায় একটু এদিক-ওদিক হলেই মেয়েকে সারাজীবন কথা শুনতে হবে। একদিকে বিয়ের পর মেয়ের অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা ভেবেই মরমে মরছে প্রশান্ত। তার উপর তার জীবনে এক মর্মস্পর্শী ঘটনা তো রয়েছেই। যার সমাধান করার জন্য অনুতপ্ত প্রশান্ত মেয়ের বিয়ের এই সময়টাকেই বেছে নিয়েছিল।

‘বাবু চা’, ভোলার আওয়াজ শুনে প্রশান্ত চোখ খোলে।

‘হ্যাঁরে বউদিমণি আসেনি এখনও?’ চায়ের কাপ নিতে নিতে প্রশান্ত, ভোলাকে জিজ্ঞাসা করে।

‘না বাবু। বলেই গেছেন, দেরি করে ফিরবেন।’

‘আর প্রমিত, রশ্মি কোথায়?’

‘দিদি মনে হয় বন্ধুদের সঙ্গে পার্লারে গেছে। আর দাদা কী যেন একটা কাজের জন্য বেরোল।’

‘আচ্ছা ঠিক আছে তুই যা।’

 

ভোলা এবাড়ির কাজের লোক। দীর্ঘদিন ধরে এবাড়িতে কাজ করে। প্রায় কুড়ি-একুশ বছর ধরে। বাড়ি গোসাবায়। বিয়ে-থা করেনি। সংসারে কেউ না থাকায় পাকাপাকিভাবে এখানেই থেকে গেছে। এবাড়ির সংসারের যাবতীয় সে-ই দেখাশোনা করে।

সংসারে মানুষ বলতে ছটা প্রাণী। প্রশান্ত, প্রশান্তের স্ত্রী রিমা, ছেলে প্রমিত, মেয়ে রশ্মি। আর প্রশান্তের মা উমাদেবী। সাত বছর হল বাবা কমলাপ্রসাদ গত হয়েছেন। এছাড়া সংসারের সর্বময় কর্তা ভোলা তো রয়েছেই।

ভোলা ছাড়া এই সংসার অন্ধকার। বিগত কুড়ি বছরে রিমা যে কতবার হেঁশেলে ঢুকেছে তা হাতে গুনে বলা সম্ভব। যতদিন উমাদেবী সুস্থ ছিলেন ততদিন তিনি মাঝেমধ্যেই ছেলে, নাতি-নাতনির পছন্দের খাবার বানাতেন। কিন্তু এখন আর পেরে ওঠেন না। আর বউমা রিমাও পছন্দ করে না যে বাড়ির কাজের লোক থাকতে শাশুড়ি রান্না করুক। এতে তার স্টেটাস মেনটেন হবে না। এবাড়িতে পয়সা-কড়ি থেকে শুরু করে একে-অপরের প্রতি ভালোবাসা অঢেল কিন্তু তবু কোথাও যেন, কিছু একটা ফাঁক থেকে গেছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...