—চুপ কর। আমি দেখছি, একটা চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।

–কোথায় পাবি বুনু, রাস্তায় পড়ে আছে?

অর্পিতা মেজদির কথার কোনও উত্তর দেয় না। সত্যিই তো চাকরি মাটিতে পড়ে নেই। তাও চেষ্টা করে সামনের বাজারে একটা উইমেন গারমেন্টসের দোকানে সেল্স গার্লের চাকরি জোটায়। মাস দুই কাজ করে। কিন্তু খাটনি আর স্যালারির সহাবস্থানে এক্কেবারেই মানানসই না হওয়ায় ছাড়তে হয়। তারপর কয়েক সপ্তাহ বাড়িতে বসে একে ওকে বলে টিউশন জোগাড় করে, খুব বেশি নয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাত্র তিন বাড়ি। জুনিয়র ক্লাস হলেও পয়সা আছে।

মায়ের অর্ধেক পেনসনের টাকা আর টিউশন মিলিয়ে ভাঙা গাড়িতে গতি আসে। এমনিতে অর্পিতা কাজ ছাড়া আর বাইরে যায় না। যাবেই বা কী করে, মেজদির শরীরের অবস্থা ভালো নয়, রান্না করতে করতে হাঁপিয়ে যায়। অর্পিতাকেই সব কিছু করতে হয়। দাদা-বউদি, বড়দি-জামাইবাবু — ইচ্ছে হলে আসে। মাঝে মাঝে ফোন করে। মা ওদের কথা আলোচনা করে, কাঁদে, বলে, 'হ্যাঁ রে আমি মারা গেলে তোরা দু'বোন থাকবি কী করে বলত?”

এ প্রশ্নের উত্তর অর্পিতার কাছে না থাকলেও, অর্পিতা মায়ের ওপরেই কৃত্রিম রাগ দেখায়। এক রাতে খেতে বসে মা বলে, 'আজ জামাই ফোন করে বাড়িটা বিক্রি করে দেবার কথা বলছিল।' অর্পিতা খাওয়া থামিয়ে জিজ্ঞেস করে, “কখন ?'

—সন্ধেবেলা, তুই যখন পড়াতে গেছিলিস। আমি ফোনটা রিসিভ করলে মাকে দিতে বলে।

—আচমকা বিক্রি করে দিতে বলে কেন?

—বলছিল, ‘মা ওই অঞ্চলে বড়ো বড়ো প্রোমোটার থাবা বসিয়েছে। ফ্ল্যাট উঠছে। কোনও দিন জোর করে দখল করে নেবে তখন কাঁচকলা পাবেন।' ওর নাকি চেনাজানা কে সব আছে, ভালো দাম দেবে।

অর্পিতা সেদিন মাঝ পথে খাওয়া শেষ করে অন্ধকারেই বাগানে এসে দাঁড়ায়। ছয় কাঠার ওপরে জায়গা আছে। বাবার মুখে শুনেছে ওপার বাংলা থেকে দাদু এসে এই জায়গাটাতেই প্রথম তাঁবু খাটিয়েছিল। ঠাকুমা চারদিকে লাউ কুমড়োর গাছ পুঁতে অনেকটা জায়গা দখল করেছিল। পরে সরকার থেকে দিয়ে দেয়। অনেক গাছ আছে। সব দাদু ঠাকুমার হাতে লাগানো। বাতাবি লেবু, আম, জাম, পেয়ারা। বাড়ির পিছনদিকে একটা বেলগাছও রয়েছে। সন্ধের পর মা ওদিকে কাউকে যেতে দিত না। তবে ভাইবোনরা মিলে উঠোনটাতে খুব মজা করে খেলত।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...