প্রথম দিকে মা ‘ঠিক আছে, ভাবছি।' এইসব বলে কাটালেও শেষদিকে একদিন দাদার মুখের ওপর বলে দিল, 'এটা তো আমার শ্বশুরের ভিটে, শ্বশুর একবার নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে এখানে বাড়ি বানিয়েছিলেন, আমি তো এই বাড়িতেই প্রথম এসে উঠেছি। আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন এই জায়গা থেকে আর কোথাও যাব না, এই বাড়িও বিক্রি করব না।

দাদা, বড়দি, বউদি— সবাই মিলে বুঝিয়ে যখন কাজ হল না তখনই জোর করতে আরম্ভ করল। ভয়ও দেখাল। ‘মেরে দেবে, জোর করে তুলে দেবে।” তারপরেই এই। ঘর তছনছ, সব কিছু উলটপালট। সব কিছু দেখে অর্পিতা মেজদির ওপর খুব রেগে উঠল, “কিছু বলতে পারলি না। এসে এমন করে চলে গেল আর তোরা!”

মেজদি ফুঁপিয়ে কেঁদে উত্তর দিল, 'কী বলব? মাকে পর্যন্ত ধরে শুইয়ে দিল।’

—চেল্লাতে পারলি না?

—জামাইবাবু মুখ চেপে ধরে রেখেছিল। আমার ঘাড়ে লেগেছে।

পিঠ ঘুরিয়ে অর্পিতাকে ঘাড়ের নীচে কালো দাগটা দেখাল। কাছে গিয়ে অর্পিতা হাত বুলিয়ে দাগটাকে দেখল। হাত দিতেই মেজদি, ‘লাগছে” বলে চিল্লিয়ে উঠল। দরজার কাছে এসে অর্পিতা কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল, তারপর বলে উঠল, ‘মা শুয়ে থাক, তুই আমার সঙ্গে চল।'

—কোথায়?

—প্রথমে পার্টি অফিস যাব, তারপরে একবার থানায় গিয়েও সব বলে আসি। এবার ব্যাপারটা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে।

বলবার পরেও অবশ্য মেজদির কোনওরকম গা না করে একই ভাবে বসে থাকা দেখে অর্পিতা একটু জোরেই বলে উঠল, “কিরে, কী হল, চল আমার সঙ্গে।' মা বিছানার ওপরেই বসে আস্তে আস্তে বলল, 'আর এইরকম করিস না, আমায় একটু বাঁচতে দে। ভালো লাগছে না আমার, শরীরও খারাপ লাগছে।'

—যেতে হবে না তোমাদের কাউকে। আমি দাদা, জামাইবাবু, দুজনকেই ফোন করছি। তারপরে দেখছি, আজ ওদের একদিন কি আমার একদিন।

কথাগুলো শেষ করেই বড়দি, জামাইবাবু, দাদা, বউদি— সবাইকে ফোনে খুব অপমান করে শেষে থানা, পার্টি অফিস যাওয়ার কথাও বলে দিল। ফোনটা রেখে একাই প্রথমে পার্টি অফিসে গিয়ে সবকিছু জানিয়ে থানাতে গেল। বাড়ি ফেরবার সময় খোঁড়াদার দোকান থেকে আরেকটা ডিম কিনে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে দাদা জামাইবাবুর সবকথা বলে শেষে বলল, 'কখনও আমাদের বাড়িতে চ্যাঁচামেচির আওয়াজ পেলে পাড়ার কয়েকজনকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে একটু যেও। না হলে দাদা আর জামাইবাবু আমাদের তিনজনকেই মেরে দিয়ে চলে যাবে।”

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...