দ্যাখ শৈবাল, তোর বিয়ের মেয়ে দেখার জন্য আর আমাকে বলবি না।

তার মানে? তুই আমার পোশাক পরতে শেখার আগের স্টেজের বন্ধু। তুই দেখবি না তো কে দেখবে!

না, তোর মনের মতো সুন্দরী, সর্বগুণসম্পন্না রমণী আমি খুঁজে বের করতে পারব না ভাই।

আরে, সর্বগুণসম্পন্না তো বলিনি। রাঁধতে না জানলেও চলবে, চুল বাঁধতে না জানলেও ক্ষতি নেই। শিক্ষিত হওয়ার সাথে আমি চাই শুধু উদার আর সংস্কৃতিমনস্ক, যার রাজনীতি-বোধ আছে, এমন মেয়ে

উফফ...। সেই উদার, উদার, উদার...

প্রাণ হাঁসফাঁস করা গরমের বিকেলে আমি আর নির্মল ফিরছিলাম বাইকে করে। নির্মল আমার ছেলেবেলার বন্ধু। জীবনের প্রথম সবকিছুর সাক্ষী। তাই আমার বিয়ের মেয়ে দেখতে যাওয়া নির্মলকে ছাড়া হতেই পারে না। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই মা আর দিদি বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে চলেছে। আর আমি ওদের কাছে আসা সব সম্বন্ধ একের পর এক নাকচ করে চলেছি। কারণ, আমার মনের মধ্যে যে-মানসকন্যার ছবি আঁকা আছে, তারা তার ধারেকাছে কেউ নয়। সেদিনও টাকিতে একটা মেয়েকে দেখে ফিরছিলাম। সেই সম্বন্ধটা অবশ্য এনেছিল নির্মলের বউদি। যথারীতি সে মেয়েকেও আমার পছন্দ হল না। অনেক কারণে আমি বিভিন্ন মেয়েকে রিজেক্ট করেছি। সে সব গোপন কথা কাউকে বলিনি। আমার নিজস্ব একটা হিসাব ছিল, আমি পাঁচ দশ। বউ হবে মিনিমাম পাচঁ আট। সামনে দাঁড়িয়ে কপালে চুমু খেতে পারব আমি। ঝুঁকতে হবে না।

অনেকগুলো মেয়ে রিজেক্ট করার পর নির্মলের জেরায় আমি সেই কথাটা বলে ফেলি। ফলত ও আমাকে হেলমেট দিয়ে মারতে যায়। বলে, শালা, বাংলাদেশে অমন তালগাছ খুঁজে বার করা আমার সাধ্য নয়। থাক তুই আইবুড়ো হয়ে৷

এছাড়া আমার আরও একটা থিওরি ছিল। কথায় কথায় কায়দা করে জেনে নিতাম, মেয়ে খবরের কাগজ পড়ে কিনা, নিউজ চ্যানেল দেখে কিনা। কারণ কাজের লোক আর বাচ্চার মা হওয়ার কম্বিনেশন নয়-- আমি খুঁজতাম মনের সঙ্গী। আমার কবিতা, আমার গল্প, আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস আর সংস্কৃতির আঙিনায় একসাথে হাত ধরে হাঁটার জন্য আর একটা হাত। যে হবে উদার, খোলা হাওয়ার মতো। যে হবে বন্ধু কাম বউ।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...