সূর্যটা দিঘির জলে ডুব দিতেই হালকা মেঘাবৃত আকাশটা বেশ রঙিন হয়ে উঠল। আপাত নিস্তরঙ্গ দিঘির জলে তার অপূর্ব ছায়া বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সাঁঝবেলার অন্ধকার ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকল। দিঘির জলও কেমন কালো হয়ে উঠতে লাগল।

প্রতিদিন নন্দিতা এই সময়টা বাড়িটার দোতলার পশ্চিমমুখী বারান্দায় বসে সূর্যাস্ত দেখে। সাত সকালে অবশ্য পূর্বমুখী বারান্দায় বসে, সূর্যোদয় দেখতেও কখনও ভুলে যায় না। তখন অবশ্য সুকান্তকে ও কাছে পায় কিছুক্ষণের জন্যে। খানিক পরেই অফিস যাওয়ার তাড়া থাকে তার। সকালের চা খেতে খেতে একসাথে সূর্যোদয় দেখার খানিক পরেই নন্দিতাকেও ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়, সুকান্তর ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চবক্স রেডি করার জন্য।

বাইপাসের কাছে দক্ষিণ কলকাতার এই ফ্ল্যাটটিতে এটাই একটা মস্ত বড়ো সুবিধে। পুব আর পশ্চিম, দুই প্রান্তেই দুটো বারান্দা আছে বলে। ওরা প্রায় দুবছর ধরে দোতলার এই ফ্ল্যাটটিতে ভাড়া থাকে। এর আগে সুলেখার কাছে একটা ছোটো ওয়ান বিএইচকে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত। বছর খানেক বাদে দক্ষিণ কলকাতার এই ফ্ল্যাটটিতে চলে আসে সুকান্তর কর্মস্থলে যাতায়াতের সুবিধের জন্য। এছাড়া ওই পুরোনো জায়গাটা যথেষ্ট ঘিঞ্জিও ছিল। ঘিঞ্জি জায়গা ওদের দুজনের একদম পছন্দ নয়।

সুকান্ত আর নন্দিতা দুজনেই খুব প্রকৃতি প্রেমিক। বাইপাসের কাছে এই ফ্ল্যাটটি তাই স্বাভাবিক ভাবেই ওদের খুব ভালো লেগে গিয়েছিল। প্রকৃতিকে সবসময় চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিমে দেখতে পায় বেশ বড়ো একটা দিঘি, তার একপাশে খালি মাঠ, সার দিয়ে অন্তত দুডজন নারকেল গাছ।  কিছু দিঘির পাড় ধরে, কিছু মাঠটির ধার দিয়ে মাঠের চারপাশে আর দিঘির এক প্রান্তে বেশ কিছু সবুজ গাছগাছালি আর ঝোপঝাড়ও দেখতে পাওয়া যায়।

ফ্ল্যাটটির পূর্বদিকটাও ভীষণ আকর্ষণীয়। ওদিকে অদূরেই ঘন সবুজ অরণ্য। সূর্য প্রতিদিন ওই অরণ্যের ফাঁকফোকর দিয়ে ধীরে ধীরে দেখা দেয়, খানিক পরেই পূর্ণাকার নিয়ে অরণ্যের মাথায চড়ে বসে। সোনালি আলোয় ঝলমল করে ওঠে চারপাশ। সুকান্তদের নিজেদের বসতবাড়ি জলপাইগুড়িতে আর নন্দিতার বাপের বাড়ি কুচবিহারে। বছর আড়াই হল ওদের বিয়ে হয়েছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...