একটাও ল্যাম্পপোস্টের আলো জ্বলছে না আজ। কী হয়েছে কে জানে! প্রতিপদ বলে কিছুটা রক্ষে। ইন্টেনসিটি কমে গেলেও, পূর্ণিমার আলো জমা হচ্ছে নিশীথ সেন সরণির এই দোতলা বাড়ির ড্রযিংরুমে রাখা সারি সারি স্কচের বোতলে। এর মধ্যে একটা বোতলকে নির্বাচিত করে, গেলাস ভর্তি পূর্ণিমা গলায় ঢালছিলেন ফ্যালকন ইন্ডাস্ট্রিজ-এর কলকাতা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মি.সুনীল রায়।

এমন সময় বাইরে কলিং বেলের আওয়াজ। এখন তো কারও আসার কথা নয়। তৃণা আসত এই সময়ে, তবে সে সব তো অতীত। সোফার থেকে উঠে দরজা অবধি যেতে গিয়ে দেখলেন মাথাটা টলছে। না, ইদানীং একটু বেশি চড়াতে ইচ্ছা করছে নিজেকে। টলোমলো পায়ে উঠে গিয়ে ডোরহোল-এর মধ্যে চোখ রাখলেন তিনি। দেখলেন, একজন লোক একহাতে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আর অন্য হাতে রুমাল দিয়ে মাথা মুছছেন। বাইরের দিকে চোখ চেয়ে দেখলেন, বৃষ্টি হচ্ছে বেশ মুষলধারে। কখন থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তিনি তা খেয়ালই করতে পারেননি। তবে যেটা খেয়াল করলেন সেটা হল, লোকটি যে-শার্টটা পরে এসেছেন, সেটা তাঁর ভীষণ চেনা। সাত-পাঁচ না ভেবেই দরজাটা খুলে বললেন, কে?

আগন্তুক হাসিমুখে তাঁর দিকে তাকিয়ে জবাব দিলেন, আসতে পারি?

একটু অবাক হয়ে বললেন মি. সেন, কিন্তু কেন? কে আপনি? কী চাই?

বাইরেই দাঁড় করিয়ে রাখবেন, না ভিতরে...

ওহ প্লিজ কাম ইন।

থ্যাংক্স।

আগন্তুক সোফাতে বসার পর বললেন মি. সেন,

বলুন, আমার কাছে কী দরকারে, এই অবেলায়?

একচুয়ালি দরকারটা আপনার।

আমার দরকার। আর আপনি ছুটে এসেছেন তার জন্য, স্ট্রেঞ্জ! একটু অবাক হলেন মি. সেন।

বলব বলব, দাঁড়ান। বলব বলেই তো এসেছি। একটু জল খেয়ে নিই।

জল কেন শুধু, স্কচ চলে? গভীর নেশায় চোখ দুটো ছোটো হয়ে আসছে তখন সেনবাবুর।

স্কচের গেলাসটায় এক ঢোক মেরে বললেন আগন্তুক,

আমাকে তৃণা পাঠিয়েছে।

এই নামটা শুনেই হুট করে নেশাটা যেন কেটে গেল সুনীলবাবুর। বললেন, ওহ আপনি সেই লইয়ার কাম বয়ফ্রেন্ড। হা-হা-হ-হা। বেশ এক ঢিলে দুই পাখি মারার জীবন্ত এক্সাম্পল। হা-হা-হা, সশব্দে গেলাসটাকে টেবিলে নামিয়ে রেখে নাটকীয় ভঙ্গিতে বলে উঠলেন তিনি।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...